পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যে নাগরিকদের জন্য বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awas Yojana) প্রকল্প শুরুর ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল সাধারণ মানুষ যাতে পাকা বাড়ি পেতে পারেন। এই সংকল্প নিয়ে প্রকল্প (Government Scheme) চালু করেছেন রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে বাড়ি বানানোর জন্য অর্থ সাহায্য সরাসরি ক্রেডিট হবে আবেদনকারীর ব্যাংক একাউন্টে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করলেন, আরো ১৬ লাখ আবাস যোজনা ঘরের টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
Bangla Awas Yojana Scheme
এখনো পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত অনেক দরিদ্র মানুষ রয়েছেন যারা মাটির কিংবা অন্যান্য উপকরণে তৈরি বাড়িতে থাকেন। প্রায়শই প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তারা সমস্যার সম্মুখীন হন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ মানুষের জন্য পিএম আবাস যোজনা প্রকল্প আর চালু করেছিলেন। তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি শুধুমাত্র বাংলার মানুষদের জন্য বাংলা আবাস যোজনা শুরু করেছেন।
১৬ লাখ পাকা বাড়ি তৈরির প্রতিশ্রুতি
এদিকে আসন্ন নির্বাচন কর্মসূচিতে কোমর বেঁধে লেগেছে শাসক শিবির। সম্প্রতি সন্দেশখালি প্রশাসনিক সভা থেকে ২০২৬ ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন মমতা ব্যানার্জি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে বাকি ১৬ লক্ষ মানুষের জন্য তিনি পাকা বাড়ির ব্যবস্থা করে দেবেন। বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলে। সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে বাকি ১৬ লক্ষ মানুষের জন্য তিনি পাকা বাড়ি তৈরি করে দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শহরি নতুন আবেদন করুন অনলাইনের মাধ্যমে
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এত দিন ধরে বাংলার বাড়ি প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকার চালাচ্ছিল। এখন কোনও ট্যাক্স নেই আমাদের। একটাই ট্যাক্স, আর সেটা হল জিএসটি ট্যাক্স। যে টাকাটা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য থেকে তুলে নিয়ে যায়। যে কোন জিনিস পত্রের উপর বসানো সেই জিএসটি কেন্দ্রের কাছে যায় সেই টাকার থেকে আমরা যে টাকা পাই তার থেকে বাংলার বাড়িকে ৩ বছর ধরে ওরা টাকা দেয় না। বলেই অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর তিনি রাজ্যে আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি তৈরির পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আবাসন প্রকল্পে ইতিমধ্যে প্রায় ৪৭ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। শুধু রাজ্য সরকারের টাকায়। দরজার একটা সার্ভে করে। আর তাতে ২৮ লক্ষ মানুষের নাম এসেছিল যারা অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলের সত্যিই গরিব মানুষ। তাদের মধ্যে মোট ১২ লক্ষ মানুষের কাছে ৫০ শতাংশ টাকা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পৌঁছে গিয়েছে। বাকিটা তাঁরা পেয়ে যাবেন আগামী ৬ মাসের মধ্যে।
পশ্চিমবঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে বিরাট সুখবর। জানুয়ারি থেকে সুবিধা আরো বাড়ছে।
কাজ শেষ করলেই তারা মিলবে। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন বাকি ১৬ লক্ষ মানুষের জন্য তিনি বাড়ি বানিয়ে দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি, যারা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন, তারা বাকি টাকা পাবেন ভোট ঘোষণার কয়েক মাস আগে। পুনরায় নির্বাচনে চতুর্থবার ক্ষমতায় এলে তৃণমূল শিবির ১৬ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা আমজনতার একাউন্টে পাঠিয়ে দেবে।