Lakshmir Bhandar – এই 16 টি নিয়ম না মানলে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আর কন্যাশ্রীর টাকা পাবেন না

krishak bandhu Join Whatsapp channel
Join-telegram-channel

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) ও কন্যাশ্রী (Kanyashree).বর্তমানে এই প্রকল্পে উপভোক্তারা প্রত্যেক মাসে পান ১০০০ ও ১২০০ টাকার আর্থিক সাহায্য। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য তৈরি করা এই স্কিম রাজ্যবাসীকে উপকৃত করেছে। আর এবার এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে ১৬ টি নতুন নিয়ম চালু করল রাজ্য সরকার। যদি এই ১৬ টি নিয়ম না মানা হয়, তাহলে প্রকল্পের টাকা মিলবে না। তাই এবার দেখে নেওয়া যাক কোন নিয়মগুলির কথা বলা হয়েছে।

Lakshmir Bhandar Scheme New Rule

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পটিতে (Government Scheme) রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সকল ছাত্রছাত্রীদের ট্যাবের টাকা নিয়ে দুর্নীতি হওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে কড়া পদক্ষেপ করল নবান্ন। সম্প্রতি একটি নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। নির্দেশিকাটি জারি করেছে অর্থ দফতর। ইতিমধ্যে নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের যে সব দফতর প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেয়, তাদের জন্যই জারি করা হয়েছে এই ১৬ দফা নির্দেশিকাটি।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও কৃষক বন্ধু প্রকল্পের নিয়ম বদলে গেল। এবার কিভাবে টাকা পাবেন?

এই বিষয়টি সর্বজনজ্ঞাত যে, লক্ষ্মীর ভান্ডার, রূপশ্রী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পগুলি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরাবর ভোটের ‘ডিভিডেন্ড’ দিয়ে এসেছে। কিন্তু ট্যাব-কাণ্ডের পর রাজ্যের প্রকল্পগুলি থেকে সাধারণ মানুষ কতটা সুবিধা পাচ্ছেন, তা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাই বার কড়া নির্দেশিকায় নিজের যাবতীয় প্রকল্পকে সুসংহত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আবাস যোজনার ফাইনাল লিস্ট চলে এল। সবার ফোনে এসএমএস পাঠানো শুরু। কবে থেকে টাকা পাবেন?

রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশিকায় কি বলা হয়েছে?

  • পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে প্রকাশিত এই নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর আগে তা দুবার করে চেক করতে হবে। বিশেষ করে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য আগে ভাল ভাবে যাচাই করে নিতে হবে।
  • কোনও উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর আগে, সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের প্রথম পাতার প্রতিলিপি কিংবা ক্যানসেল চেক নিতে হবে। যেখানে উল্লেখ থাকবে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার নাম, উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং আইএফএসসি তথ্য।
  • উপভোক্তারা কোন প্রকল্পে টাকা পাবেন, সে বিষয়ে এবার দফতরকে সতর্ক থাকতে হবে।
  • ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যেন একাধিক উপভোক্তা না হয়। পঞ্চমত, কোন উপভোক্তার আইএফএসসি যাচাই করে নিতে হবে অবশ্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তালিকা দেখে।
  • কোনো উপভোক্তার অ্যাকাউন্ট যেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে এমন শাখায় থাকে যা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে।
  • কোনভাবেই যেন গ্রুপ এ-র নীচের পদের কোনও আধিকারিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অনুমোদন না দেন।
  • যখন কোনও লেনদেন ব্যর্থ হবে সেক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত হবে সংশোধন। ওই লেনদেন ‘অটো ক্যানসেল’ হওয়ার পর আবার নতুন করে পাঠাতে হবে, যদি তা একই অর্থবর্ষের মধ্যে হয়। সেক্ষেত্রে নতুন করে ওই লেনদেন আবার করা হবে।
  • উপভোক্তার তথ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনস্থ এনপিসিআইএল যাচাই করবে।
  • যখন যাচাই করা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আইএফএসসি উপভোক্তার নামের সঙ্গে মিলে যাবে তবেই যেন টাকা দেওয়া হয়।
  • রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উপভোক্তার নাম এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যদি গরমিল ধরা পড়ে, তবে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
  • প্রকল্পের টাকা পাঠানোর পর উপভোক্তার ফোনে এসএমএস পাঠাতে হবে। শুধু টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রেই কোনভাবে যদি আবেদন মঞ্জুর বা বাতিল হয়, সেক্ষেত্রে পাঠাতে হবে এসএমএস। প্রসেসড অ্যাট ট্রেজারি, পেমেন্ট সাকসেস, পেমেন্ট ফেলড মেসেজ পাঠাতে হবে উপভোক্তাকে। আর যদি কোনও উপভোক্তার টাকা যাচ্ছে না দেখা যায়, তবে প্রয়োজনীয় সংশোধন প্রয়োজন জানিয়ে ফের এসএমএস পাঠাতে হবে।
  • মনে রাখা জরুরী অনলাইনে আবেদন জমা পড়ার পর ফের কোনওরকম কাগজ, ফর্ম ইত্যাদি অফলাইনে নেওয়া যাবে না।
  • এছাড়া যদি অফলাইনে কোনও আবেদন জমা পড়ে, সেক্ষেত্রে উপভোক্তার যাবতীয় তথ্য এমন ভাবে তুলতে হবে, যাতে জটিলতা ছাড়াই সহজেই সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার তথ্য যাচাই করা যায়।
  • প্রকল্পের টাকা পাঠানোর পোর্টাল এবং বিভাগীয় পোর্টালের মধ্যে সমন্বয় অবশ্যই সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এছাড়া, ফাইল ট্রান্সফারের অ্যাপ্লিকেশন সবসময় হবে সর্বশেষ ভার্সানের হতে হবে।
  • এছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সব দফতর টাকা পাঠায় তাদের মাসিক অথবা ত্রৈমাসিক পর্যালোচনার স্টেটমেন্ট পাঠাতে হবে। যাতে একসাথে সবটা দেখা যায় কাদের টাকা পাঠানো হয়েছে আর কারা পেয়েছেন। এই নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের অর্থ দফতর জানিয়েছে যে, উল্লেখিত ১৬ দফা নির্দেশ এখনই কার্যকর করতে হবে।

Leave a Comment