২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (HS Exam) নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সম্প্রতি তাদের তরফে জারি করা এক নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে যে, এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকের সেমিস্টার টু পরীক্ষার সময়সূচি আরও এগিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি, পরীক্ষার পদ্ধতি, প্যাটার্ন, এবং প্রশ্নপত্র নিয়েও বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেখানে। পরীক্ষার্থীদের জন্য এই বিষয়গুলি জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আজকের প্রতিবেদনে সেই বিষয়ে আলোচনা করা হল।
HS Examination 2025
পরীক্ষার সময়সূচি:
সংসদের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পরীক্ষাগুলি এবার দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে পূর্বে পরীক্ষার সময় ছিল দুপুর ৩টে থেকে। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার চাপ কমানো এবং সময়সীমা সঠিকভাবে পালন করা। যেসব শিক্ষার্থী ভিজুয়াল আর্ট, মিউজিক এবং ভোকেশনাল সাবজেক্টের পরীক্ষা দেবে, তাদের পরীক্ষা ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে, যা দুপুর ২টো থেকে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।
পরীক্ষার প্যাটার্ন, পদ্ধতি ও প্রশ্নপত্রের ধাঁচ:
এছাড়া, সংসদ জানিয়েছে যে, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরীক্ষাগুলি পুরোপুরি সেমিস্টার পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ, ২০২৪-এর মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রথম বার সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে চলেছে। সেমেস্টার নিয়মে বছরে দুটি পরীক্ষা হবে। প্রথম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হবে সম্পূর্ণ এম সি কিউ টাইপের, আর দ্বিতীয় পরীক্ষায় আসবে ডেস্ক্রিপটিভ টাইপ প্রশ্ন। দুটি পর্যায় মিলিয়ে যারা পাস করবে তারাই কৃতকার্য হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়।
উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা:
সংসদের নির্দেশিকায় এবছর উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রত্যেক স্কুলকে তাদের উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য স্পষ্ট করেছেন যে, টেস্ট পরীক্ষার ফল দ্রুত পাঠানো হবে সংসদে, যা মূল পরীক্ষার প্রস্তুতি পরিকল্পনায় সহায়ক হবে। এই পরিবর্তনগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কিছুটা কমিয়ে তাদের আরও সুশৃঙ্খলভাবে প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়া হচ্ছে।
অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই নতুন নির্দেশনাগুলি মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অনেকেই মনে করছেন যে, পরিবর্তিত সময়সূচি এবং সেমিস্টার ভিত্তিক পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। তবে কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবক চিন্তিত যে, এই পরিবর্তনগুলি তাদের উপর বাড়তি মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।