বর্তমানে দিওয়ালির ছুটি (Holiday) কাটাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আগামী ৩ নভেম্বর ভাইফোঁটা পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের সমস্ত অফিস। এই ছুটি শেষ না হতেই আরো একটি ছুটি ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার। নভেম্বরের ১৩ তারিখ কোনরকম ছুটির কথাই ছিল না আগে থেকে। তবে সম্প্রতি এই দিন একটি অতিরিক্ত ছুটি যোগ করা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে সেদিন বন্ধ থাকবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস কাছারি, এমনটা ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটির মধ্যেই এই অতিরিক্ত ছুটির আনন্দ স্বাভাবিকভাবেই খুশি করেছে সকলকে।
WB Holiday New Update
১৩ নভেম্বরের এই ছুটি ঘোষণার পেছনে রয়েছে বিধানসভা উপনির্বাচন। রাজ্যের কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণ উপলক্ষে দিনটিকে ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নৈহাটি, মাদারিহাট, তালডাংরা, মেদিনীপুর, হাড়োয়া এবং সিত্তাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। উপনির্বাচনের দিন যাতে ভোটদান প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেই কারণেই এই বিশেষ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থ দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ওই দিন নির্বাচনী এলাকাগুলোর সব সরকারি অফিস, আদালত, পঞ্চায়েত অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রশাসনিক দফতর বন্ধ থাকবে।
নভেম্বর মাসে রাজ্যে ফের নতুন ছুটির ঘোষণা!
শুধু সরকারি দফতর নয়, শ্রম দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে এইসব এলাকার সমস্ত দোকানপাট, চা বাগান এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হবে সেদিন। এছাড়া কর্মচারীদের জন্যও সুখবর রয়েছে—এই অতিরিক্ত ছুটির জন্য তাঁদের বেতন কাটা হবে না। ফলে বেতনসহ এই ছুটির ঘোষণা কর্মজীবীদের জন্য বাড়তি স্বস্তি নিয়ে এসেছে।
তবে শুধু ছুটির আনন্দ নয়, এই উপনির্বাচনেরও গুরুত্ব অনেক। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এই এলাকাগুলোতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছিল এবং এবারও তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর। অন্যদিকে, বিরোধী দলগুলোও নিজেদের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করছে। এই উপনির্বাচনের ফলাফল রাজ্যের রাজনৈতিক ভারসাম্য কেমন প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে।