বাংলা শস্য বীমা: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য নতুন আশা!

krishak bandhu Join Whatsapp channel
Join-telegram-channel

পশ্চিমবঙ্গের বহু জেলা টানা বৃষ্টি ও ডিভিসি থেকে জলছাড়ার কারণে বন্যার কবলে পড়েছে। এর ফলে রাজ্যের হাজার হাজার কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস্য বীমার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

pm kisan yojana: কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে ২০০০ টাকা করে দিচ্ছে কৃষকদের, এই ভাবে আবেদন করলেই টাকা একাউন্টে

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শস্য বীমা প্রকল্পে যে সকল কৃষক বীমা করেছিলেন, তারা ক্ষতির পরিমাণ অনুযায়ী বীমার টাকা পাবেন। এই বীমা মূলত চাষের ক্ষতি পোষাতে সাহায্য করবে।

যে সমস্ত জেলায় ক্ষতি হয়েছে:

  • হাওড়া
  • হুগলি
  • পূর্ব বর্ধমান
  • বাঁকুড়া
  • মেদিনীপুর
  • বীরভূম

Internship Scheme: কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন স্কিমে প্রতিমাসে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে, জেনে নিন কিভাবে আবেদন করতে হবে

বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প (Bangla Shasya Bima) সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ:

বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের অধীনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা রাজ্যের কৃষি দফতরের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। নিচের টেবিলে কিভাবে আবেদন করতে হবে এবং কি কি ডকুমেন্ট লাগবে তার তালিকা দেওয়া হলো:

আবেদন প্রক্রিয়াপ্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসআবেদনের স্থান
গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্যাম্প অথবা নিকটবর্তী কৃষি অফিস১) ভোটার কার্ড
২) আধার কার্ড
৩) ব্যাংক পাসবই
৪) জমির খতিয়ান বা দলিল
৫) চাষের জমির শংসাপত্র
গ্রাম পঞ্চায়েত/কৃষি অফিস

অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  1. ফসল রোপণের শংসাপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্লক অথবা ভূমি দপ্তর দ্বারা প্রদত্ত)।

IRCTC Recruitment তে কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি! বেতন, যোগ্যতা, আবেদন পদ্ধতি দেখে নিন

কিভাবে আবেদন করবেন:

  1. আপনার নিকটস্থ পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারেন।
  2. অনলাইনে ফর্ম ডাউনলোড করতে পারেন নিচের লিঙ্ক থেকে।
    ফর্ম ডাউনলোড করুন

বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের সুবিধা:

বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প কৃষকদের চাষের ক্ষতি পূরণে সহায়তা করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা তাদের ফসলের ক্ষতির জন্য বীমা পাবেন। এর মাধ্যমে রাজ্যের কৃষকরা নতুন করে চাষাবাদ শুরু করতে পারবেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, যাদের মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে, তাদের জন্যও পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে বিশেষ সমীক্ষার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের নতুন করে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হবে।