টালমাটাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে (Bangladesh). রাজধানী ঢাকায় সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে চলছে জরুরী বৈঠক। এই বৈঠক শেষে বার্তা আসতে পারে জাতির উদ্দেশ্যে। সে দেশের সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান বৈঠক শেষ করে জাতির উদ্দেশে বার্তা দিতে পারেন বলেই সূত্রের খবর। চারিদিকে জারি হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। বাংলাদেশি পুলিশ-সহ সে দেশের সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে বলা হয়েছে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে।
Emergency meeting at Bangladesh Army headquarters
বাংলাদেশে সেনা তৎপরতা নিয়ে ওয়াকিবহাল সূত্রের তরফে জানা যাচ্ছে, সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামান খুব শীঘ্রই কোন বড় ঘোষণা করতে পারেন। এমনকি এই ঘোষণা আসতে পারে আজকালের মধ্যে। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর নয়া পদক্ষেপ কি হতে পারে? মহম্মদ ইউনুসকে (Muhammad Yunus) সরিয়ে দেশের শাসনভার হাতে তুলে নেবে সেনাবাহিনী? নাকি বাংলাদেশে নতুন করে জরুরি অবস্থা জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে। যদিও কোনোটিই এখনও স্পষ্ট নয়। জানা যাচ্ছে, সেনা সদরে বাহিনীর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের ডাকা হয়েছে। বৈঠক চলছে সকাল দশটা থেকে।
মামলায় নতুন আপডেট! লাখ লাখ সার্টিফিকেট বাতিল হচ্ছেই! রাজ্য সরকার নিল বড় উদ্যোগ
বাংলাদেশের আগামী পরিস্থিতি কি হতে পারে?
এখনো পর্যন্ত সেনাবাহিনীর তৎপরতার মূল উদ্দেশ্য নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে এই ধারণা করা যাচ্ছে যে, হয়তো ক্ষমতার দখল নিতে পারে সেনারা। আবার আরও একটি ধারণা বলছে, সরকারকে চাপে রেখে নির্বাচন নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই সেরে ফেলার পরিকল্পনা বাহিনীর। আর তাদের দ্বিতীয় লক্ষ্য হল আওয়ামী লিগকে অংশ নিতে দিয়ে নির্বাচনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করা।
পুরনো আধার কার্ড অতীত, চালু হচ্ছে নতুন নীল আধার কার্ড। এই কার্ড করলে পাবেন প্রচুর সুবিধা
তবে অনেকেই এটাই মনে করছেন যে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আরও তৎপর হওয়ার দরকার সেনার। এমনকী মানুষের ধারণা, গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা থেকে দেশকে রক্ষা করতে এখনই সেনাবাহিনীর দরকার নিজেদের হাতে শাসনভার তুলে নেওয়া। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে বাহিনীর পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ওয়াকার উজ জামান বিবৃতি দিয়ে বলেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে দেশবাসীর পাশে থাকবে সেনাবাহিনী। এখন এটাই দেখার বাংলাদেশের সেনা মিটিংয়ের পর সেনাপ্রধান এই বৈঠক শেষে কি বলেন।