পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল রাজ্যবাসীর জন্য চালু করেছেন বাংলা আবাস যোজনা (Bangla Awas Yojana) প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে পাকা বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রকল্পকে ঘিরে গুরুতর অভিযোগ উঠছে সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। কি জানা যাচ্ছে? এখন সাধারণ মানুষের কি কর্তব্য, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
Bangla Awas Yojana Scheme
মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেত্রীর কাটমানি চাওয়ার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। এই ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে ভিডিওতে নেত্রীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “২০ হাজার দিলে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না” সেই ভিডিয়ো নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে ও কম বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি।
বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে (Government Scheme) বাড়ির বিনিময়ে সরাসরি কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে এই ঘটনা কিন্তু শুধু মুর্শিদাবাদ নয়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই এই অভিযোগ উঠছে ক্রমাগত। দুর্নীতি দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, বাড়ির তালিকা প্রস্তুত নিয়ে তো কখনও সরকারি আধিকারিকের নাম করে নাকি উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। আর গুচ্ছ-গুচ্ছ অভিযোগ উঠে এসেছেই শাসকদলের বিরুদ্ধে। তবে এবার এই সব বিতর্ক এড়াতে এক নয়া পন্থা চালু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুরের জেলা অন্তর্ভুক্ত প্রশাসন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কার্যত রাস্তায় নেমে প্রচার করলেন বিডিও ও গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধানরা।
আনন্দধারা প্রকল্পে মহিলাদের 10 কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। কিভাবে আবেদন করবেন?
বাংলা আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ
যেখানে প্রথম দফায় প্রায় ৯২৮ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়েছে বাংলার বাড়ি আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা। আর ইতিমধ্যে অধিকাংশ উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে ঢুকে গেছে প্রথম কিস্তির টাকা। তবে এখনও ধাপে ধাপে সার্ভের কাজ চলছে। আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতেই গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন জায়গায় সকল উপভোক্তাদের নিয়ে বিশেষ আলোচনা সভা করল ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েত। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ব্লক বিডিও উৎপল পাইক, গ্রাম পঞ্চায়েত-এর প্রধান দোয়াল লোহার ও উপপ্রধান মনাজুর মোল্লা-সহ ব্লক এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য আধিকারিকরাও।
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে যাতে কোনরখম দুর্নীতির অভিযোগ না ওঠে ও সঠিক সময়ে সরকারের দেওয়া গাইডলাইন মেনে যাতে উপভোক্তারা বাড়ির কাজ শুরু করে সেসব নিয়েই মূলত এই আলোচনা সভাটি হয়েছিল। আর সেখানেই বিডিও উৎপল পাইক ও গ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান মনাজুর মোল্লাকে রীতিমতো মাইক হাতে বলতে দেখা যায়, “কোনও সরকারি অফিসার বা কর্মী, তা সে গ্রাম পঞ্চায়েত হোক বা বিডিও অফিসের। কেউ যদি টাকার দাবি করে আপনারা দেবেন না।” তিনি আরো বলেন, কেউ যদি এসে বলে, আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছি বা টাকা পাইয়ে দিয়েছি তার জন্য আমাকে এত টাকা দিন, এরকম দাবি করা হয় তাহলে সরাসরি বিডিওকে জানাবেন।”
রেশনের সাথে মিলবে আরো 1000 টাকা। কারা এই সুবিধা পাবেন জেনে নিন
এ প্রসঙ্গে বিডিও আরও বলেন, উপভক্তদের অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার টাকা ইতিমধ্যেই ঢুকতে শুরু করেছে। উপভোক্তাদের বোঝানো হয়েছে এই টাকা দিয়ে শুধু বাড়িই করা যাবে। অন্য কোনও কাজে মোটেও এই বাড়ির টাকা ব্যবহার করা যাবে না। এরপর সার্ভে করা হবে যে সত্যিই তাঁরা বাড়ি বানানো শুরু করেছেন কি না।” তিনি কড়া স্বরে বলেছেন, কেউ যদি তাঁদের থেকে টাকা চায় তবে তাকে যেন জানানো হয়। আর তাহলে তার বিরুদ্ধে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন।