রেশন কার্ড (Ration Card) নিয়ে দেশের সরকার নিল এক বড় পদক্ষেপ। ভারতবর্ষের মানুষের জন্য রেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা তো আর আলাদা করে বলার নয়। ভারতের মানুষ বিনামূল্যে খাদ্যশস্য গ্রহণ করতে পারেন রেশন কার্ড থাকলে। তাছাড়া বাজার দামের তুলনায় কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিতে দেশের সরকার অগ্রণী ভূমিকা নেয়। আর তাই এবার রেশন নিয়ে গরিব মানুষরা যাতে আরো সুবিধা পান তার জন্য পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি? ২০২৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। এখন দেখে নেওয়া যাক দেশের সরকার কোন সুবিধা দিতে চলেছে সাধারণ মানুষকে।
Ration Card Benifits 2024
ভারতবর্ষে এমন বহু পরিবার রয়েছে যারা তাঁদের দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য নির্ভর করে থাকেন রেশনের ওপর। নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে রেশন কার্ড (Ration Card) শুধু একটি ডকুমেন্ট নয়, বরং প্রতিদিনের খাদ্য সংগ্রহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের দেশের সরকার আরও বেশি পরিমাণে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। যাতে তাঁরা তাঁদের জীবনযাত্রাকে আরো সচ্ছল করতে পারেন। ভারতবর্ষের মানুষ এই রেশন কার্ড দ্বারা উপকৃত। হাজার হাজার মানুষের খাদ্য সংস্থান রেশনের মাধ্যমে হয়।
ভারতবর্ষের বহু গরীব সাধারণ মানুষকে রেশন দোকান থেকে যে সামগ্রী প্রদান করা হয় তা দিয়েই সংসার চালান তাঁরা। আর এবার এই দেশের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের কথা ভেবেই বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন উৎসবের পালা। আর পুজোর আবহেই বড় সুখবর দিয়েছেন ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে ভারতবর্ষের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সীমান্ত এলাকার পরিকাঠামোর উন্নয়নের ওপর আরো বেশি করে ফোকাস করছেন। আর সে কারণে সীমান্ত অঞ্চলে তিনি ২,২৮০ কিমি রাস্তা তৈরির জন্য মোট ৪.৪০৬ কোটি টাকা বিনিয়োগে উদ্যোগী হয়েছেন। আর সে জন্য মন্ত্রীসভা অনুমোদন দিয়েছে। একইসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, আগামী ২০২৮ সাল অবধি ফ্রিতে চাল দেওয়া হবে। আর সে কথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব।
২০২৮ সাল পর্যন্ত ফ্রিতে চাল দেওয়া হবে!
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, জুলাই ২০২৪ থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা ও অন্যান্য কল্যাণমূলক প্রকল্পের আওতায় ফ্রি-তে চাল সরবরাহ করা হবে। এই বিষয়েও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সরকার তরফে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের ফলে এবার থেকে এদেশের অগুনতি মানুষের সুরাহা হতে চলেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এদিন বলেন, আশা করা হচ্ছে, এটি অ্যানিমিয়া ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট
এর ঘাটতি কমাবে। তিনি জানিয়েছেন, ১৭,০৮২ কোটি টাকার এই প্রকল্পে কেন্দ্র মোট ১০০ শতাংশ অর্থায়ন করবে। উন্নয়নের প্রচার ও পুষ্টি সুরক্ষা বৃদ্ধি প্রধানত কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য। তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
২০২৮ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষকে চাল সরবরাহ (Ration) করার কথা ঘোষণা করে অশ্বিনী বৈষ্ণব এদিন উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এক অর্থনৈতিক বিষয় সম্বন্ধিত মন্ত্রীসভা কমিটি আরো একটি উদ্যোগ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই বছরের মার্চ মাসের মধ্যে গোটা দেশে বিভিন্ন পর্যায়ে চাল ফোর্টিফিকেশন উদ্যোগ বাস্তবায়িত করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মন্ত্রিসভা কমিটি। যদিও এখনও অবধি তিনটি ধাপে এটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন, ভারতবর্ষের আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের যদি ফ্রি-তে চাল সরবরাহ করা হয় তাহলে তাঁদের মধ্যে অ্যানিমিয়া মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি হ্রাস পাবে। ২০১৯ ও ২০২১ সালের মধ্যে আয়োজিত হওয়ার ন্যাশানাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে বলছে, অ্যানিমিয়া এদেশের অত্যন্ত বড় একটি সমস্যা। যা ভারতবর্ষের পুরুষ, মহিলা, এমনকি শিশুদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়। তাই এটি কমাতে উদ্যোগী দেশের সরকার।