মমতা সরকারের বড়ো পদক্ষেপ: ‘মা ক্যান্টিনে’ কম খরচে মধ্যবিত্তের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য!

krishak bandhu Join Whatsapp channel
Join-telegram-channel

Maa Canteen : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্পটি রাজ্যের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ২০২১ সালে এই প্রকল্পটি চালু হয় এবং এর মূল লক্ষ্য হলো সস্তা মূল্যে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা। বর্তমান বাজারের দাম এবং আর্থিক অস্থিরতার মধ্যে এই প্রকল্পটি মানুষের মধ্যে একটি বড় সহায়তা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সস্তা মূল্যে পুষ্টিকর খাবার প্রদান করা। এই প্রকল্পটি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং খাদ্য অপচয় রোধে সহায়তা করে।

ক্যান্টিনের অবস্থান ও সংখ্যা

প্রথমে কলকাতায় এই প্রকল্প চালু হলেও পরবর্তীতে রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও ‘মা ক্যান্টিন’ স্থাপন করা হয়েছে। কলকাতায় প্রায় ১২০টি ‘মা ক্যান্টিন’ রয়েছে, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ খাবার গ্রহণ করেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য শহর ও গ্রামীণ এলাকায়ও ক্যান্টিন স্থাপন করা হয়েছে, যা স্থানীয় মানুষদের খাবারের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে।

খাবারের মূল্য ও মেনু

‘মা ক্যান্টিন’-এ খাবারের দাম অত্যন্ত কম রাখা হয়েছে, যাতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষ সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় খাবার পেতে পারেন।

মাত্র ৫ টাকায় একটি পূর্ণ পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যায়। মেনুতে সাধারণত ভাত, ডাল, সবজি, এবং কখনও কখনও ডিম বা মাছ অন্তর্ভুক্ত থাকে।

সময়সূচী ও পরিষেবা

‘মা ক্যান্টিন’ সাধারণ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকে। এই ক্যান্টিনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ খাবার সংগ্রহ করেন।

পরিষেবাটি খুবই দ্রুত এবং কার্যকরভাবে পরিচালিত হয়, যাতে মানুষ কম সময়ের মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় খাবার পেতে পারেন।

আরও পড়ুন : নতুন বাড়ির স্বপ্ন সত্যি করুন: SBI এর ৩০ লক্ষ টাকার হোম লোনের EMI কত জানেন?

স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা

ক্যান্টিনে স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিটি ক্যান্টিনে খাবার প্রস্তুতির সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয় এবং কর্মীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও, ক্যান্টিনের চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় এবং খাবার পরিবেশন করার পাত্রগুলি স্যানিটাইজ করা হয়।

প্রকল্পের প্রভাব

‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্পটি রাজ্যের দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা প্রতিদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছেন। পাশাপাশি, এই প্রকল্পটি খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও খাদ্য অপচয় রোধে সহায়ক হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

রাজ্য সরকার ভবিষ্যতে আরও বেশি ‘মা ক্যান্টিন’ স্থাপন করার পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে এই সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে। এছাড়াও, খাবারের মান ও বৈচিত্র্য বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে, যাতে মানুষ আরও পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার পেতে পারেন।

আরও পড়ুন : State Bank Atm থেকে টাকা তোলার সমস্যা? এই নতুন পদ্ধতিতে টাকা তুলুন ঘরে বসেই!

শেষ কথা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা প্রতিদিনের খাবারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছেন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা ও আরও বেশি ক্যান্টিন স্থাপন করার পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের রয়েছে।

‘মা ক্যান্টিন’ প্রকল্পের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে সঠিক পরিকল্পনা ও সুষ্ঠু পরিচালনার মাধ্যমে সমাজের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ রাজ্যের অন্যান্য প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

Leave a Comment