আপনি কি ভারতের নাগরিক? আপনার বয়স কী ১৬ থেকে ৬০ মধ্যে? তাহলে আর চিন্তা নেই আপনিও পেতে পারেন ৩০০০ টাকা (E Shram Card). কেন্দ্রীয় সরকার দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য চালু করেছে এই নতুন প্রকল্প। বেকার ছেলেমেয়ে ও শ্রমিকদের জন্য এটি দুর্দান্ত প্রকল্প যার নাম ই শ্রম কার্ড বা শ্রমিক কার্ড, এই কার্ড করলেই টাকা দেবে সরকার।
E Shram Card Download and See Benefits
এই নতুন প্রকল্পে আবেদন করলেই সুবিধা দেবে কেন্দ্র। শুধু দেখাতে হবে এই কার্ড। এই কার্ড করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে? এই কার্ড করলে কী কী সুবিধা পাবেন? কীভাবেই বা এই কার্ড করবেন দেখে নিন বিস্তারিত ভাবে আজ কের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে।
ই শ্রম কার্ড কী?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার অসংগঠিত শ্রমিক বা ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এই ই শ্রম কার্ডের সুবিধা চালু করেছে, যা ইতিমধ্যেই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, যারা কোনো নির্দিষ্ট বা স্থায়ী আয়ের উৎস পান না, তাঁদের জন্য ভবিষ্যতে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান করা। ১৬ বছর বয়স হলেই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। এবং ৬০ বছর বয়সের পরে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত দেশের ২০ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন। যার মধ্যে ২ কোটি মানুষকে এই সুবিধা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার।
এই কার্ডের সুবিধা
এই কার্ডের মাধ্যমে শুধু পেনশনই নয়, একাধিক সরকারি সুবিধা পাওয়া যাবে। সেগুলি হলো –
১) নিশ্চিত পেনশন: ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হলে যে সমস্ত E- Shram কার্ডধারীরা আছেন, তাঁরা প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন।
২) প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা: দূর্ঘটনায় যদি কোনো ব্যক্তি মারা গেলে বা অঙ্গহানির শিকার হলে, তার পরিবারকে সর্বাধিক ২ লক্ষ টাকা এবং আংশিক অঙ্গহানি হলে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
৩) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা: যাদের বাসস্থা নেই, তাঁদের বাড়ি নিরর্মান করতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
৪) গর্ভাবতী মহিলাদের সহায়তা: কাজ করতে অক্ষম গর্ভাবতী মহিলাদের পরিবারকে প্রতিমাসে আর্থিক সহায়তা করা হবে।
৫) শিক্ষা ও আর্থিক সহায়তা: এই কার্ড ধারির সন্তানকে পড়াশোনা জন্য সরকার থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে।
এই কার্ডের যোগ্যতা
এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে আবেদনকারীর নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। যেমন –
১. অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী: যারা নির্দিষ্ট স্থায়ী আয়ের উৎস পান না, তারাই এই কার্ডে আবেদন করতে পারবেন।
২. আয়কর প্রদানকারী নন: যারা আয়কর জমা দেন তাঁরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
৩. EPFO ও ESIC সদস্য নন: EPFO বা ESIC সদস্যরা এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে।
৪. বয়সসীমা: আবেদনকারীর বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
এই কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় নথি
ই-শ্রম কার্ডে আবেদনের জন্য কিছু গুরুতবপূর্ন নথির প্রয়োজন সেগুলি হলো –
- আধার কার্ড
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- প্যান কার্ড
- ব্যাংকের একাউন্টের বিবরণ
- আধার লিঙ্কড মোবাইল নাম্বার
আরও পড়ুন, কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে প্রতিমাসে পেয়ে যান ৩০০০ টাকা, যোগ্যতা ও আবেদন দেখে নিন
আবেদন প্রক্রিয়া
এই কার্ডের জন্য আবেদন করা খুব সহজ। আপনি চাইলে বাড়িতে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। এজন্য –
১. প্রথমে E Shram কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
২. সাইটে গিয়ে ‘New Registration’ বাটনে ক্লিক করুন।
৩. এরপর ‘Registration on E Labour’ অপশন নির্বাচন করুন।
৪. আপনার আধার লিংক মোবাইল নম্বরটি এন্টার করুন এবং ওটিপি সাবমিট করুন।
৫. তারপরে আপনার ব্যক্তিগত, কাজের এবং ব্যাংকের তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
৬. সব তথ্য সাবমিট করার পর আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
একবার আবেদন হয়ে গেলে আপনার আবেদনের স্থিতি চেক করতে পারবেন। এই সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন থাকলে এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করুন। এই সমস্ত খবর পেতে আমাদের সাইট ফলো করতে পারেন।