রাজ্য সরকারের নয়া বৃত্তি প্রকল্প, শিক্ষার্থীরা পাবেন ১০,০০০ টাকা, জানুন আবেদনের পদ্ধতি

krishak bandhu Join Whatsapp channel
Join-telegram-channel

Nabanna Scholarship : নবান্ন স্কলারশিপ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি অন্যতম উদ্যোগ, যা মেধাবী ও আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা লাভে সহায়তা করে। এই স্কলারশিপটি মূলত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়।

নবান্ন স্কলারশিপের মূল উদ্দেশ্য

নবান্ন স্কলারশিপের মূল উদ্দেশ্য হল মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার পথে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এই স্কলারশিপটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা খরচ মেটাতে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

প্রয়োজনীয় যোগ্যতা

  • নাগরিকত্ব: আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর প্রাপ্ত হতে হবে।
  • আর্থিক অবস্থা: পরিবারের বার্ষিক আয় ১.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।

প্রয়োজনীয় নথি

  • ভর্তি রশিদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
  • Income certificate (from MLA)।
  • স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণপত্র।
  • ব্যাংক পাসবুকের প্রথম পাতা।

নবান্ন স্কলারশিপের মানদণ্ড

নবান্ন স্কলারশিপ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা মেধাবী ও আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা লাভে সহায়তা করে। এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার জন্য শিক্ষার্থীদের কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। নিচে নবান্ন স্কলারশিপের যোগ্যতা মানদণ্ড বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো:

১. নাগরিকত্ব

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

২. শিক্ষাগত যোগ্যতা

  • মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য: আবেদনকারীকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় (10ম শ্রেণি) ন্যূনতম ৫০% নম্বর পেতে হবে।
  • উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য: আবেদনকারীকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (12শ শ্রেণি) ন্যূনতম ৫০% নম্বর পেতে হবে।

৩. আর্থিক অবস্থার মানদণ্ড

  • আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ১.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে। এই আয় সনদটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রদত্ত হতে হবে।

৪. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

  • আবেদনকারীকে অবশ্যই একটি স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থাকতে হবে। স্কলারশিপ শুধুমাত্র পূর্ণকালীন কোর্সের জন্য প্রযোজ্য।

৫. অন্যান্য শর্ত

  • আবেদনকারীকে রাজ্য সরকারের কোনো অন্যান্য স্কলারশিপ বা ফিনান্সিয়াল এড সহকারিতা গ্রহণ না করার শর্তে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে।

৬. আবেদনের সময়সীমা

  • আবেদনকারীদের আবেদনপত্র নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা দিতে হবে। সময়সীমা প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আবেদনকারীদের সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা ওয়েবসাইট নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে।

৭. সিলেকশন প্রক্রিয়া

  • আবেদনকারীদের শিক্ষাগত ফলাফল, আর্থিক অবস্থা এবং অন্যান্য যোগ্যতা যাচাইয়ের ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়।

এই যোগ্যতা মানদণ্ডগুলি পূরণ করে, মেধাবী এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থীরা নবান্ন স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং তাদের উচ্চ শিক্ষার পথে আর্থিক সহায়তা পাবেন।

অনুদানের পরিমাণ

নবান্ন স্কলারশিপের আওতায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ১০,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়, যা তাদের শিক্ষা খরচ মেটাতে সহায়ক হবে।

স্কলারশিপের সুবিধা

  • আর্থিক সহায়তা: নবান্ন স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা খরচ মেটাতে সাহায্য করে।
  • উচ্চ শিক্ষা: মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায়।
  • মানসিক উৎসাহ: শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও মানসিক প্রেরণা বৃদ্ধি পায়।

আবেদন পদ্ধতি

১. প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা ও অনুদান বিভাগের ওয়েবসাইটে https://cmrf.wb.gov.in/ যান।
২. “নবান্ন স্কলারশিপ” লিংকে ক্লিক করুন।
৩. আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করুন ও প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
৪. প্রয়োজনীয় Documents সংযুক্ত করে আবেদনপত্রটি জমা দিন।

নবান্ন স্কলারশিপের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

নবান্ন স্কলারশিপ পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারছে। ভবিষ্যতে এই স্কলারশিপের আওতায় আরও বেশি শিক্ষার্থী উপকৃত হবে এবং রাজ্যের শিক্ষা মান উন্নত হবে।

উপসংহার

নবান্ন স্কলারশিপ পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী ও আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। এই স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার পথে এগিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদের স্বপ্ন পূরণে সহায়ক হয়। তাই, যারা যোগ্য ও প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে পারছেন, তারা অবশ্যই নবান্ন স্কলারশিপের জন্য আবেদন করুন এবং উচ্চ শিক্ষার পথে এগিয়ে যান।

Leave a Comment