পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu) চালু করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্য যেখানে অধিকাংশ মানুষ চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত। তাই কৃষকদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার নয়া প্রকল্প এনেছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য পাঠানো হয়। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে একটি ভালো খবর। আর এই খবর অবশ্যই রাজ্যের কৃষকদের জন্য। শোনা যাচ্ছে, কৃষক দের জন্য চালু হাওয়া কৃষক বন্ধু স্কিমে টাকার পরিমাণ বেড়ে গেল।
Krishak Bandhu Scheme 2024
রাজ্যের কৃষকদের জন্য একের বেশি কিস্তিতে টাকা পাঠায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দুই মরশুমে টাকা পান কৃষকেরা। খারিফ সিজনের জন্য টাকা দেওয়া হয় আর রবি সিজনের জন্যও দেওয়া হয়। এই কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu) প্রকল্পটি সারা রাজ্যের কৃষকদের মধ্যে প্রভূত জনপ্রিয়। আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের যারা সুবিধাভোগী তাদের জন্য ভালো খবর। আপনারা যারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন বা সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরা এবার থেকে ফের অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকার পরিমান বাড়ল?
কৃষক বন্ধু প্রকল্প নিয়ে নতুন আপডেট সামনে চলে এসেছে। ইতিমধ্যে যা জানা যাচ্ছে, অন্যান্য জেলাগুলির মতো হুগলি জেলাতেও চলতি খরিফ মরসুমে প্রধানত ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য গত শনিবার থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত সর্বত্র আমন ধান পুরোপুরি না ওঠায় প্রথম দিন থেকেই কৃষকদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল সব ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে। এছাড়া, চলতি বছরের বন্যার কারণে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন চাষ ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। এর ফলে এক কুইন্টাল ধান থেকে কৃষকেরা কতটুকু চাল পেতে পারেন তাই নিয়ে চিন্তায় সকলেই।
ইতিমধ্যে জেলা খাদ্য দফতরের মতে, এই মরসুমে সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যা জানা যাচ্ছে প্রতি কুইন্টাল ১১৭ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২,৩০০ টাকা। এছাড়াও, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে (সিপিসি) ধান বিক্রি করলে চাষিরা আরও ২০ টাকা পাবেন উৎসাহ ভাতা হিসেবে। যা প্রতি কুইন্টাল প্রতি ২,৩২০ টাকা দাঁড়াবে। আর এও খবর পাওয়া যাচ্ছে, জেলা প্রশাসন এবারে হুগলির জন্য মোট ৭.৫ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এছাড়া যে কথা জানা যাচ্ছে, এবার ৬০টি সিপিসি বা কেন্দ্রীভূত ক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে বাংলায়। যেখানে কৃষকেরা ধান নিয়ে এলে তা নেওয়া হবে। এছাড়াও, প্রথম দিনে আউস বা পুরনো ধান মাত্র ২৯ কুইন্টাল ৩০ কেজি কেনা হয়েছে। জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, ধান কেনার জন্য শুধুমাত্র যে সিপিসির উপর নির্ভর করা হচ্ছে তা নয়। সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং এফপিও-এর মাধ্যমে কৃষকদের থেকে ধান কেনা হবে। স্বচ্ছতা আনতেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে সর্বত্র ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্র ও নয়া প্রযুক্তির ই-পস (ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেলস) যন্ত্রকে ব্যবহার করা হবে বলে খবর মিলছে।