পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে চালু হয়ে গেল নতুন নিয়ম। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পটি মহিলাদের উন্নয়নের স্বার্থে চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মাঝেমধ্যেই এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নিয়মগুলি বদলানো হয়। নতুন বছরের শুরুর দিকে তেমনি একটি ঘোষণা হল রাজ্য সরকারের তরফে। জেনে নিন কোন নিয়মে বদল হলো, উপভোক্তাদের কোন নিয়ম মানতে হবে।
Lakshmir Bhandar Scheme New Rule
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয় কর্মসূচি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme) এই প্রকল্প মূলত মহিলাদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল। এই প্রকল্প (Government Scheme) রাজ্যের মহিলাদের প্রত্যেক মাসে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক চালু হওয়া এই প্রকল্প নারীদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে প্রতিমাসে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে আর্থিক সাহায্য পাঠায়।
বর্তমানে সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতির প্রতি মাসে পাচ্ছেন মহিলারা ১২০০ টাকা। এই প্রকল্পটি এই রাজ্যের অনেক মহিলাকে আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছে। নতুন বছরের শুরুতেই খবর পাওয়া যাচ্ছে, সম্প্রতি, ডিসেম্বর মাস থেকে ৫,০৭,০০০ নতুন সুবিধাভোগী এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।
বছর শেষে মহিলাদের জন্য নতুন সরকারি প্রকল্প। এই স্কিমে কত টাকা পাবেন?
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে চালু নতুন নিয়ম
সদ্য শুরু হয়েছে নতুন বছর ২০২৫। আর নতুন বছরের শুরুতে বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। সরকার সতর্ক করে দিয়েছে যে যদি এই নিয়মগুলি অনুসরণ না করা হয়, তাহলে কিন্তু উপভোক্তা মহিলারা আর টাকা পাবেন না।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নিয়ম বলছে, এই প্রকল্পে যুক্ত হতে হলে আর এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য হতে হলে, একজন মহিলাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, এই প্রকল্পে মহিলা আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে একজন মহিলার সিঙ্গল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। সেই একাউন্টে টাকা স্থানান্তরিত করা হবে। অ্যাকাউন্টটি যৌথ হলে তাহলে তিনি ভাতা পাবেন না। ওই মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি মহিলার আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায়, তিনি মাসিক অর্থ পাবেন না।
আবার বাড়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা? মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম, একজন কর্মরত মহিলা যদি অন্যান্য সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য যোগ্য হবেন না। এছাড়াও, তফসিলি উপজাতির মহিলা যারা সুবিধা নিতে ইচ্ছুক তারা মনে রাখবেন, এই প্রকল্পের জন্য তাদের অবস্থা প্রমাণ করার জন্য একটি শংসাপত্র জমা দিতে হবে। নয়তো তাঁরা সুবিধা পাবেন না। আর সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে পুরানো অ্যাকাউন্টগুলি এবার পর্যবেক্ষণ করছে। যদি সুবিধাভোগী মহিলারা এই নতুন নির্দেশিকা না মানেন, তাহলে তাঁর ভাতা পাওয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।