পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পগুলি (Government Scheme) রাজ্য বাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে বিগত কয়েক বছরে। সেই প্রকল্পের তালিকায় রয়েছে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী রুপশ্রী মত প্রকল্প। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার ওপর সরকারি প্রকল্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন। এই প্রকল্পে আবেদন করলে আপনাদের একাউন্টে ক্রেডিট হবে কড়কড়ে ২৫,০০০ টাকা।
Government Scheme Kanyashree Prakalpa
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সকল প্রকল্প চালু করেছেন তার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য হলো কন্যাশ্রী প্রকল্প (Kanyashree Prakalpa). এই প্রকল্পটি প্রধানত রাজ্যের মেয়েদের জন্য নির্মাণ করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন এই রাজ্যের প্রায় ৮৯ লক্ষ ছাত্রী। রাজ্য সরকার এই প্রকল্প নির্মাণ করেছিলেন ছাত্রীদের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে চলার জন্য। আর এবার মুখ্যমন্ত্রী আশা ও নির্দেশ মেনে সেই সংখ্যাটা যাতে ১ কোটি ছুঁতে পারে, সেই জন্যই তোরজোড় শুরু করেছে প্রশাসন। সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, ‘স্টুডেন্ট উইক’ এর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদেরকে মুখ্যমন্ত্রী দিলেন বিশেষ টার্গেট।
পশ্চিমবঙ্গে চাকরি না পেলেও প্রতিমাসে 1500 টাকা পাবেন। যুবশ্রী প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন?
কন্যাশ্রী প্রকল্প নিয়ে নতুন উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর
এখনো অবধি যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বাংলার সবমিলিয়ে মোট ৮৯ লক্ষ ছাত্রীকে রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী (Kanyashree) বৃত্তি দিয়েছে। আর এই বৃত্তির জন্য সরকারের খরচ হয়েছে মোট ১৫,০০০ কোটি টাকা। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির লক্ষ্য যাতে এই বছরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মোট ১১ লক্ষ কন্যার কাছে পৌঁছে যায় কন্যাশ্রী স্কিমের সুবিধা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে এই মর্মে নির্দেশ এসেছে। আর তাতেই কার্যত উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্প রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে সর্বত্র সমাদৃত। এই প্রকল্পের সহায়তায় মূলত ৩টি ভাগে টাকা পান স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীরা। রাজ্যে বসবাসকারী ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি অবিবাহিতা পাঠরতা ছাত্রীদের সরকার বার্ষিক ১০০০ টাকা দেয়। ছাত্রীদের বয়স ১৮ বছর পার করলে অবিবাহিতা উচ্চ মাধ্যমিক কিংবা কলেজে পাঠরতা ছাত্রী পান এককালীন ২৫,০০০ টাকা। আর এরপর স্নাতকোত্তর অথবা পেশাগত কোর্স পাশ করলে অবিবাহিতা ছাত্রীদের জন্য রাজ্যের সরকার লেখাপড়ার জন্য আর্থিক সাহায্য করে।
2025 থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নতুন নিয়ম চালু হয়ে গেল। এই নিয়ম না মানলে আর টাকা পাবেন না
যেহেতু বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প উদাহরণস্বরূপ বলা যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী ইত্যাদি একের পর এক নির্বাচনে সুফল দিয়েছে তৃণমূল শিবিরকে, তাই আসন্ন ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাক। আর একইসঙ্গে জানা যাচ্ছে যে, আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে হয়তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও বাংলার বাড়ি প্রকল্প দু’টিকেও আরও প্রসারিত করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতোমধ্যে নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর তরফে নির্দেশ আসার পর রাজ্য স্তর, জেলাভিত্তিক স্তর এও লক্ষ্য পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।