আপনার চাকরিও এখন যেতে পারে, নবান্ন থেকে নতুন নিয়ম !জেনে নিন

krishak bandhu Join Whatsapp channel
Join-telegram-channel

নবান্নের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আপনার চাকরি নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। এই পরিবর্তনগুলো কিভাবে আপনার কর্মজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে তা জানতে আমাদের সম্পূর্ণ গাইড পড়ুন।

তীব্র অর্থ সংকটে পড়া রাজ্য সরকারের জন্য নতুন নিয়োগ নিয়ে চলছে দ্বিধা ও দ্বন্দ্ব। বর্তমান সরকারি কর্মীদের চাকরি থাকলেও, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় সংকোচন করার ঘোষণা এসেছে নবান্ন থেকে।

কড়া পদক্ষেপে মুখ্যমন্ত্রী

নবান্ন এবার সরকারি কর্মচারীদের সংখ্যা কমাতে বদ্ধপরিকর। মুখ্য সচিব ইতিমধ্যেই কড়া সুরে নির্দেশ দিয়েছেন যে খুব প্রয়োজন ছাড়া নতুন নিয়োগ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অতিরিক্ত পদগুলো কাটছাঁট করার পথে হাঁটছেন।

সরকারি অফিসগুলির বেহাল অবস্থা

অনেক সরকারি অফিসের দুরবস্থা দেখেই এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শীর্ষ আমলাদের নিয়ে এক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনেক সরকারি দফতরে কর্মীরা কোনও কাজ করেন না। অফিসে দেরি করে আসা, টুকিটাকি কাজ করা, আড্ডা দেওয়া, লাঞ্চ করা, এবং মাইনে নেওয়া – এসবই চলছে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থের অপচয় হচ্ছে।

আর্থিক সংকট মোকাবিলায় সচিবের নির্দেশনা

অর্থ সচিব মনোজ পন্থ সোমবার এক বৈঠকে জানিয়েছেন, কোনও সরকারি দফতরে নতুন নির্মাণের প্রস্তাব পাঠিয়ে লাভ হবে না। শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও সতর্ক হয়ে লোক নিতে হবে। শূন্যপদ পূরণের জন্য পুরনো কর্মীদের কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পর্ষদ বন্ধ করে কর্মীদের অন্য দফতরে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের পরিকল্পনা

দপ্তরশূন্যপদ সংখ্যাখরচ
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তর28 জন নিরাপত্তা রক্ষী, 142 জন উদ্যান পালন প্রযুক্তি সহায়ক5.74 কোটি টাকা
স্কুল শিক্ষা190 শূন্যপদ11.60 কোটি টাকা
শিলিগুড়ি কমিশনারেট436 শূন্যপদ5.02 কোটি টাকা

পূর্ত, শ্রম, স্বাস্থ্য, কৃষি দফতরেও বেশ কিছু নিয়োগ জরুরি ছিল। তবে, আধিকারিকরা স্পষ্ট বলেছেন, অনুমোদিত শূন্যপদের 50 শতাংশ নিয়োগ করা যাবে।

বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

রাজ্য সরকারের এই সংকোচনমূলক পদক্ষেপের ফলে কিভাবে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করা যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্যের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপগুলি কতোটা কার্যকর হবে তা সময়ই বলে দেবে।

উপসংহার:

রাজ্যের তীব্র অর্থ সংকট মোকাবিলায় এই পদক্ষেপগুলি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের এই সংকোচন রাজ্যের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা ভবিষ্যতেই পরিষ্কার হবে।

আপনার যদি এই তথ্যগুলি উপকারী মনে হয়, তবে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এছাড়াও, আপনার যে কোনো প্রশ্নের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

Leave a Comment