রেশন কার্ড (Ration Card) এমন একটি নথি যা ঘরে ঘরে দরকার হয়। একাধিক সুবিধা পাওয়া যায় রেশন কার্ডের দ্বারা। পাশাপাশি, রেশন কার্ড অনেক সময় পরিচয়পত্র হিসেবেও কাজ করে। তবে ভারতবর্ষে নাগরিকদের রেশন কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন থাকে। ঠিক কত বছর বয়স হলে একটি শিশু রেশন কার্ড পাবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। তবে সেই নিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানালো রাজ্য সরকার।
শিশুরা কত বছর হলে পাবে Ration Card?
আগেই বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের রেশন কার্ড সম্পর্কিত নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার ছ’বয়স বয়স না হলে তার জন্য রেশনের খাদ্যশস্য দিতে চায় না। কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব, ‘টিপিডিএস কন্ট্রোল অর্ডার ২০১৫’ সংশোধন করে এমনটাই বলা হচ্ছে। যদিও অবশ্য এ ব্যাপারে আপত্তি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ রাজ্য সরকার।
2025 থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নতুন নিয়ম চালু হয়ে গেল। এই নিয়ম না মানলে আর টাকা পাবেন না
শিশুর রেশন কার্ড নিয়ে রাজ্যের সিদ্ধান্ত!
সূত্রের খবর, সংশোধনের বিষয়ে রাজ্যগুলির মতামত চেয়েছিল খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রক। গত ১০ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যদপ্তরের বিশেষ সচিব খাদ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব রবি শঙ্করকে চিঠি দিয়ে মতামত দিয়েছেন। আর সেখানে বলা হয়েছে, ছ’ বছর নয়। শিশুর এক বছর বয়স হলেই তার নামে রেশন কার্ড ইস্যু করা হোক। শিশু জন্মাবার পরই বার্থ সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে তৈরি হয় রেশন কার্ড। কিন্তু কেন্দ্র এখন চাইছে সেটি ছ’বছর করতে। তবে রাজ্যের প্রস্তাব এক বছর। কোনওভাবেই বাংলার মানুষকে আর রেশনের খাদ্যশস্য থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলেই সরকার তরফে বলা হয়েছে।
তবে শুধু তাই নয়, পাশাপাশি নতুন রেশন কার্ডের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংযুক্তিকরণের প্রসঙ্গেও রাজ্য নিজস্ব মতামত জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য তরফে বলা হয়েছে নতুন করে যেসব রেশন কার্ড হবে, তার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে ব্যাঙ্ক আকাউন্ট। এমনই প্রস্তাব দিয়েছে খাদ্যমন্ত্রক। রাজ্য সরকার জানিয়ে দিয়েছে, তবে এই নিয়ে তারা কিছু করবে না। বরং ব্যাংক একাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করে নিক কেন্দ্র ‘ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া’র থেকে। এই কাজে রাজ্যের কোনো ভূমিকা থাকবে না।