রাজ্য সরকার রাজ্যের মানুষদের জন্য একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প (Sasthya Sathi Scheme). রাজ্যের অনেক দুঃস্থ ও দরিদ্র পরিবার রয়েছে যাদের পক্ষে চিকিৎসার জন্য কিভাবে খরচ সামলাবেন তা নিয়ে চিন্তা করতে হয়। কখনো কোন মানুষের রোগ বলে কয়ে আসে না, বর্তমানে চিকিৎসার ব্যবস্থার যা খরচ তা সামলে ওঠা একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে অনেকটাই খরচ সাপেক্ষ।
Sasthya Sathi Scheme
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড (Sasthya Sathi) Card ব্যবস্থা করা হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে পারবেন। সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে যদি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখানো হয় তাহলেও এই সুবিধা মেলে। কিন্তু এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে ফ্রি চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেও অনেক অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে।
কিছুদিন আগেই ডাক্তারদের আন্দোলনে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকমের দুর্নীতি ও অপরাধমূলক ব্যবস্থাকে সরিয়ে স্বচ্ছ চিকিৎসা ব্যবস্থা আনার জন্য আবেদন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই ব্যাপারে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবায় যাতে স্বচ্ছ ভাবে সমস্ত কিছু হয় তার নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালগুলিকে। আন্দোলনকে ঘিরে জুনিয়র ডাক্তারদের বলা কথা থেকে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য সাথী স্কিমের অধীনে অনেক সরকারি হাসপাতালে ডাক্তাররা বেসরকারি সুবিধায় চিকিৎসা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
আরও পড়ুন, বাংলার নাগরিকদের 2 কাঠা করে জমি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নতুন প্রকল্পে আবেদন করুন
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে আরও সুবিধা পাবেন আমজনতা
কারণ স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর অধীনে সরকারি চিকিৎসকরা যদি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করে তাহলে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটা এনওসি দিতে হয়। সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারদের এনওসি দিতে পারে একমাত্র সরকারি হাসপাতাল। তারপরও যদি কোন সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অধীনে চিকিৎসা করতে চায় তাহলে তাঁকে স্বাস্থ্য দফতর জন্য এনওসি আবেদন করতে হবে।
গরীব মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বড় ঘোষণা। 2028 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব নিল সরকার
স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে আবেদনপত্রের সমস্ত কিছু ঠিকঠাক মনে হলে তবে তিনি অনুমোদন দেবে সরকারি চিকিৎসকদের। যাতে কোনরকম দুর্নীতি বা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর অপব্যবহার না হয় সেটি দেখার মূল লক্ষ্যই হল এই ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য দপ্তর এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছে এখনো সেই ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়াই সময়ের অপেক্ষা।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ড মূলত দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার জন্য তাই এই বিষয়ে কোনো রকম অপব্যবহার বা দুর্নীত যাতে না হয় সেদিকে স্বচ্ছ ভাব বজায় রাখার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর তথা রাজ্য সরকার। বিশেষ করে ডাক্তারের আন্দোলনের পরেই রাজ্য সরকার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে আরো ওয়াকিবহুল হয়েছেন এবং যাতে রাজ্যজুড়ে চিকিৎসা পরিষেবা স্বচ্ছ ভাব বজায় থাকে সেই দিকে লক্ষ্য রাখছেন রাজ্য সরকার।