পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) জন্য মাঝেমধ্যেই নানান ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government) কখনো সিভিকদের জন্য থাকে ভালো খবর আবার কখনো বিভিন্ন নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁদের। আদালতের তরফে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি সিভিকদের জন্য নতুন একটি নির্দেশ জারি হল নবান্নের (Nabanna) তরফে। আজ এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সেই নির্দেশ সম্পর্কে জানা যাক।
West Bengal Civic Volunteer News
পশ্চিমবঙ্গের সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য এক নতুন আপডেট দিল নবান্ন। বলাই বাহুল্য সিভিক ভলেন্টিয়ার দের জন্য ভালো খবর। এবার থেকে রাজ্য সরকার পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য এক নতুন ট্রেনিং কর্মসূচির প্রস্তাব করেছে। ভবানী ভবন এই ভলান্টিয়ারদের তিন মাসের ট্রেনিং দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে উপকৃত হবেন সিভিকরা।
ইতিমধ্যে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্য সরকার প্রায় ১.১৫ লক্ষ নাগরিক স্বেচ্ছাসেবকদের ট্রেনিং দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যে তাদের ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে বলেই খবর মিলছে। তবে রাজ্যস্তরে এর কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সেটাই জানার বিষয়।
সিভিকদের এই প্রশিক্ষণে কি শেখানো হবে?
এখন প্রশ্ন হল এই প্রশিক্ষণে কি শেখানো হবে? সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণে আইন-শৃঙ্খলার উপর মূলত ফোকাস করা হবে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবকদের শেখানো হবে কীভাবে জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় আর জনগণের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। এর পাশাপাশি, সব জরুরীকালীন সময়ে শারীরিক সুস্থতা নিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হবে এই প্রশিক্ষণে। এই সবকিছুই প্রোগ্রাম এর মূল অংশ হবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়াররা ট্রেনিং গ্রহণ করবে জেলার স্তরে পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট বা কমিশনারেট এলাকার তত্ত্বাবধানে।
রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বেতন বৃদ্ধি! কাদের কত টাকা বাড়লো?
আর সবকিছু পরিকল্পনা মতো চললে আগামী বছরের জানুয়ারিতে হয়তো এই প্রশিক্ষণ শুরু হতে পারে। তবে এখনো সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না কারণ রাজ্য সরকার এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনিতেই রাজ্যে সিভিক দের নিয়ে অসন্তোষ ঘনীভূত। তাই পরিস্থিতি কিছু টা অনুকূলে এলে তখন হয়ত ট্রেনিং কর্মসূচি শুরু হতে পারে। যা জানা যাচ্ছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের কথা ভাবা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে হাসপাতাল এবং স্কুলের মতো সংবেদনশীল এলাকায় ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ছেই। কনফার্ম করল রাজ্য সরকার
আরজি কর কান্ডের প্রধান অভিযুক্ত কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ার চিহ্নিত হওয়ায়, সিবিআই চার্জশিটে অপরাধে তাঁর জড়িত থাকার প্রমাণ থাকায় পরিস্থিতি এত জটিল হয়েছে। ফলস্বরূপ, সিভিকদের কাজ নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে রাখা হয়েছে। তবে এখন, সরকারের তরফে যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে সেই উদ্যোগে সিভিক ভলেন্টিয়াররা উপকৃত হবেন সমাজের অনেক চাকরিপ্রার্থীর চাকরি হতে পারে। আর সেখান থেকেই চাকরির নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।