গরম চায়ে ডোবানো তুলতুলে বিস্কুট মুখে দিলে সকালটা বেশিরভাগ মানুষের জন্যই ভালো হয়ে যায়। অফিসে কাজের ফাঁকে, রাস্তায় বেরিয়ে কিংবা বাড়িতে অবসর সময়ে একটা বিস্কুট খেয়ে নেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। কিন্তু এই অভ্যাস কি আসলেই ভালো? নাকি শরীরে বাজে প্রভাব ফেলছে? বিশেষজ্ঞদের মতামত জানুন।
Table of Contents
বিস্কুট এবং ময়দার প্রভাব
বিস্কুট তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। আর ময়দা পেটের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। বিশেষ করে খালি পেটে ময়দার তৈরি বিস্কুট খেলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
খালি পেটে বিস্কুট খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
সকালে খালি পেটে বিস্কুট না খাওয়াই শ্রেয়। কারণ বিস্কুট দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করে রাখা হয় এবং প্যাকেটজাত থাকে অনেকদিন। বাইরে থেকে বোঝা না গেলেও অনেক সময় বিস্কুটের গুণমান খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ক্যালোরি এবং পুষ্টিগুণের অভাব
পুষ্টিবিদ অমিতা গাডরে বলছেন, কুকি বা বিস্কুটের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে। অথচ সেই ক্যালোরি কোনও উপকারে লাগে না। প্রোটিন, ভিটামিন বা খনিজ বলতে কিছুই থাকে না।
ওজন কমাতে বিস্কুট এড়িয়ে চলুন
ওজন কমাতে চাইলে বিস্কুট এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ বিস্কুটে চিনির পরিমাণ অনেকখানি থাকে। নুনের পরিমাণও কম নয়। চিনি এবং নুন ওজন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
গ্যাস-অম্বল এবং ক্রনিক সমস্যার ঝুঁকি
চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাসে ঝুঁকি থাকে গ্যাস-অম্বলের। এমনকি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো ক্রনিক সমস্যার ঝুঁকিও বাড়ায় এই অভ্যাস।
অ্যালার্জি এবং অন্যান্য সমস্যা
অতিরিক্ত বিস্কুট খেলে অ্যালার্জি হতে পারে। যাঁদের গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে, তাঁদেরও একাধিক সমস্যা হতে পারে। বেশিরভাগ বিস্কুটেই প্রচুর ময়দা থাকে, যা অনেকের ক্ষেত্রে অর্শের সমস্যাও তৈরি করতে পারে।
ডাইজেস্টিভ বিস্কুটের উপকারিতা
তবে বিস্কুট মাত্রই পরিত্যাজ্য নয়। ডাইজেস্টিভ জাতীয় বিস্কুটের বেশ কিছু উপকারিতাও আছে। এই বিস্কুট শরীরে এনার্জি এনে দেয় এবং এতে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার থাকে বলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও হয় না।
উপসংহার
বিস্কুট খাওয়ার অভ্যাস বজায় রাখতে চাইলে ডাইজেস্টিভ বিস্কুট বেছে নিতে পারেন, তবে সবসময়ই পরিমিতি বজায় রাখুন। আপনার খাওয়া ঠিক কি না তা নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অবশ্যই।