বাংলার কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকার চালু করে বাংলা শস্য বিমা (Bangla Shasya Bima) প্রকল্প। বর্তমানে রাজ্য সরকার এই রাজ্যের কৃষকদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন গত কয়েক বছরে। রাজ্যের কৃষকেরা যাতে ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারেন, তাদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেই থাকে।
যেহেতু এই দেশ এবং রাজ্য শস্য শ্যামলা, আর বেশিরভাগ জনসংখ্যা যেহেতু কৃষি কাজের সঙ্গে নিযুক্ত তাই জনসাধারণের স্বার্থে সরকারি পদক্ষেপ গৃহীত হয়। ভারত মৌসুমী জলবায়ুর দেশ, এদেশের কৃষিকাজ অনেকটাই মৌসুমী বায়ুর উপর নির্ভরশীল। মৌসুমী বায়ুর খামখেয়ালি ধরন কৃষিকাজে প্রভাব বিস্তার করে। কখনো ঝড়-ঝঞ্ঝার কারণে কৃষিকাজ ব্যহত হয়। তাই সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের সাহায্য করা হয়ে থাকে। বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প তেমনি একটি প্রকল্প কৃষকদের সাহায্য করার জন্য।
Bangla Shasya Bima Scheme
কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে তটস্থ ছিল পশ্চিমবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কোন দিকে যাবে,
তার জন্য ক্রমাগত লাইফ আপডেট আদান-প্রদান চলছিল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বহু কৃষিজমিতে শস্য
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সেই সমস্ত জমির জন্য আর সেই সমস্ত জমির কৃষকদের জন্য সাহায্যের বার্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার। বাংলা শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima) প্রকল্পের মাধ্যমে এই সাহায্য কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। যদি আপনারাও এই বিষয়ে রাজ্য সরকারের সহায়তা পেতে চান, তাহলে আজকের প্রতিবেদন সম্পূর্ণ পড়ে নেবেন।
সম্প্রতি বাংলার কৃষকদের জন্য খুশির খবর। এই আপডেট সামনে আসছে যে, কৃষকদের ঘূর্ণিঝড় ডানার ক্ষতিপূরণের টাকা দেবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাব কাটার পরের দিন প্রশাসনিক বৈঠক করে জানান, কোনো কৃষক যেন ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে বঞ্চিত না হন। ইতিমধ্যে তিনি কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দেন ফসলের ক্ষতিপূরণ নির্ণয় করার জন্য মাঠে মাঠে সার্ভে করার জন্য।
সেক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যদি আপনার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে তবে কিভাবে আপনি ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন, আপনি ফর্ম কোথায় পাবেন বা কোথা থেকে ফর্ম ডাউনলোড করবেন প্রত্যেকটি বিষয়ে আজকের প্রতিবেদন থেকে আলোচনা করা হবে। তবে একটা বিষয় সমস্ত কৃষকেরা মনে রাখবেন যে, যদি আপনি ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা পাওয়ার আবেদন জমা না করেন তাহলে আপনি কিন্তু ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন না। এর অর্থ হলো আপনাকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার জন্য জমা করতে হবে আবেদন।
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্য কিভাবে পাবেন?
রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পটি মূলত গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বাজাজ অ্যালিয়ান্স জেনারেল ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মিলিত উদ্যোগে। এই প্রকল্প প্রযুক্তি নির্ভর করা হয়েছে। প্রধানত উপগ্রহ চিত্র এবং আবহাওয়াগত তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ মূল্যায়ন করে সরাসরি সেই ক্ষতিপূরণ পাঠিয়ে দেওয়া হয় কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।
প্রকল্পের আওতায় কারা আবেদন করতে পারবেন?
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী যে সকল কৃষক, যারা ২০২৪ খরিফ মরশুমে ধান বা ভুট্টা চাষ করছেন, তারা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন জানাবেন কিভাবে?
এবার আলোচনা করে নেওয়া যাক আবেদন জানানোর পদ্ধতি সম্পর্কে। আপনি কিভাবে আবেদন জমা করতে পারবেন, আজকের এই প্রতিবেদন থেকে সেই বিষয়ে জেনে নিতে হবে।
বাংলার কৃষকরা প্রধানত গ্রাম পঞ্চায়েত বা কৃষি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। এছাড়া, কৃষকেরা স্থানীয় গ্রামে ক্যাম্পে গিয়েও আবেদন জমা করতে পারেন।
আবেদন করার জন্য আপনার যে ডকুমেন্টগুলো দরকার হবে- ১) ভোটার কার্ড ২) আধার কার্ড
৩) ব্যাংকের পাস বই ৪) জমির কাগজপত্র যেমন খতিয়ান, পাট্টা, বা দলিল। ৫) আপনার জমি না থাকলে আয়তনসহ জমির শংসাপত্র ৬) জমা দিতে হবে ফসল রোপণের শংসাপত্র যেগুলি ব্লক কৃষি আধিকারিক, রেভিনিউ অফিসার ইত্যাদির স্বাক্ষরযুক্ত।
আপনারা মনে রাখবেন, এই প্রকল্পে কৃষকদের কোনো খরচ করতে হবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিমার প্রিমিয়ামের সমস্ত টাকা প্রদান করবে। এই প্রকল্পের আবেদন ফর্ম আপনারা পেয়ে যাবেন গ্রাম পঞ্চায়েত বা কৃষি অফিস থেকে।