ভারতের ৪০ কোটিরও বেশি মানুষ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন পাবেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করার ফলে এদের অনেক অসুবিধা পোহাতে হয়। কর্মরত অবস্থায় পঙ্গুত্ব বা অঙ্গহানি হলে ১ লক্ষ টাকা এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা
কর্মজীবনে অসুস্থ হলে চিকিৎসার ব্যয়ভার থেকে শুরু করে পঙ্গুত্বের শিকার হলে কোনও আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায় না। এমনকি অবসরের পর পেনশন বা আর্থিক নিরাপত্তা পাওয়ার সুযোগও নেই। এই সমস্ত সমস্যা সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছে ই-শ্রম কার্ড (E-Shram Card)।
Table of Contents
ই-শ্রম কার্ডের সুবিধা
ই-শ্রম কার্ডের মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকরা সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো:
- পেনশন: ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ৩,০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশন।
- বিমা: কর্মরত অবস্থায় পঙ্গুত্ব বা অঙ্গহানি হলে ১ লক্ষ টাকা এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা।
- বিনামূল্যে শিক্ষা ও সরঞ্জাম: শ্রমিকদের পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে বই-খাতা এবং মহিলাদের স্বনির্ভরতার জন্য বিনামূল্যে সেলাই মেশিন প্রদান।
- রেশন: রেশন কার্ডের সঙ্গে ই-শ্রম কার্ড লিঙ্ক থাকলে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে থেকেও রেশন তুলতে পারবেন।
কিভাবে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করবেন?
ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত পদ্ধতি মেনে চলুন:
- অনলাইন আবেদন: www.eshram.gov.in ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় নথিপত্র: আবেদন করতে হলে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড এবং ভোটার আইডির সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক থাকতে হবে।
- নথিভুক্তির যোগ্যতা:
- অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে এবং মাসিক আয় আয়কর সীমার নিচে থাকতে হবে।
- EPF এবং ESI সুবিধা পাওয়া যাবে না।
- বয়স হতে হবে ১৬-৫৯ বছরের মধ্যে।
ই-শ্রম কার্ডের পেমেন্ট স্ট্যাটাস চেক করার পদ্ধতি
ই-শ্রম কার্ডের অধীনে পেনশনের তৃতীয় কিস্তির অর্থ প্রদান শুরু হয়েছে। আপনি পেয়েছেন কিনা বা আপনার টাকার স্থিতি কী তা জানতে নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- www.eshram.gov.in ওয়েবসাইটে লগইন করুন।
- হোমপেজে পেমেন্ট স্ট্যাটাস লিঙ্কে ক্লিক করুন।
- আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর বা ইউএএন নম্বরের যেকোনো একটি প্রবেশ করুন এবং সার্চ বোতামে ক্লিক করুন।
- আপনার পেমেন্ট স্ট্যাটাস স্ক্রিনে দেখতে পাবেন। যদি অর্থ অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে থাকে, তবে ‘ট্রানজ্যাকশন সফল’ বার্তাটি প্রদর্শিত হবে।
ই-শ্রম কার্ডের গুরুত্ব
ই-শ্রম কার্ড কেবলমাত্র একটি পরিচয় পত্র নয়, এটি অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে সহায়ক এবং শ্রমিকদের জীবনে সুরক্ষা এবং সমৃদ্ধি আনে।
তাই, যদি আপনি অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন, তবে দেরি না করে ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করুন এবং সরকারের দেওয়া সমস্ত সুবিধা গ্রহণ করুন। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুরক্ষার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Amar esorom taka dokine