আমরা অনেকেই জানি যে কন্যা সন্তান জন্মালে সরকার বিভিন্ন আর্থিক সাহায্য প্রদান করে থাকে। কন্যা সন্তানের পিতামাতার জন্য এই সাহায্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তবে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটক সরকার তাদের রাজ্যের কন্যা সন্তানদের জন্য একটি নতুন এবং আকর্ষণীয় প্রকল্প নিয়ে এসেছে যার নাম ভাগ্যলক্ষী প্রকল্প। তবে এটি শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটক রাজ্যের জন্য প্রযোজ্য। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য এই প্রকল্পটি নয়, তাই আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।
ভাগ্যলক্ষী প্রকল্পের সুবিধা
ভাগ্যলক্ষী প্রকল্পের আওতায়, কন্যা সন্তান জন্মানোর সাথে সাথেই উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটক রাজ্যের সরকারের তরফে কন্যা সন্তানকে ৫০,০০০ টাকা বন্ড আকারে দেওয়া হয়। এই বন্ডের অর্থরাশি কন্যার ২১ বছর বয়সে ২ লক্ষ টাকায় পরিণত হয়। এছাড়াও, কন্যা সন্তানের মাকেও ৫১ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত সাহায্য
এই প্রকল্পের আওতায় কন্যা সন্তানের পড়াশোনার জন্যও বিভিন্ন শ্রেণীতে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়:
- ষষ্ঠ শ্রেণীতে ৩,০০০ টাকা
- অষ্টম শ্রেণীতে ৫,০০০ টাকা
- দশম শ্রেণীতে ৭,০০০ টাকা
- দ্বাদশ শ্রেণীতে ৮,০০০ টাকা
দুই কন্যা সন্তানের জন্য সুবিধা
কোনও পরিবারে সর্বাধিক দুইজন মেয়েই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারে। তবে শর্ত হল পরিবারের মাসিক আয় ২০,০০০ টাকার কম হতে হবে এবং কন্যা সন্তানের জন্মের ৬ মাসের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করার প্রক্রিয়া
উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটক রাজ্যের বসবাসকারীরা ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার জন্য নিম্নলিখিত বিবরণ জমা করতে হবে:
- বাবা এবং মায়ের আধার কার্ড
- মেয়ের আধার কার্ড
- মেয়ের বার্থ সার্টফিকেট
- পিতামাতার বসবাসের শংসাপত্র
- পিতামাতার আয়ের শংসাপত্র
- পিতামাতার জাতিগত শংসাপত্র
- পিতামাতার চাকরির শংসাপত্র
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য পরামর্শ
এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটক রাজ্যের সরকারের উদ্যোগ, তাই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না এবং পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পের সুযোগ পাওয়ার চেষ্টা করবেন না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার অন্য কোনও প্রকল্প নিয়ে এলে সে সম্পর্কে তথ্য জানানো হবে।
এইভাবে উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটক রাজ্যের সরকার তাদের কন্যা সন্তানদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যান্য রাজ্যেও এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত যা কন্যা সন্তানের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।