সরকারি রেশন বিতরণ ব্যবস্থায় এক নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। ওড়িশার ভুবনেশ্বরে চালু হল দেশের প্রথম রাইস এটিএম, যেখানে এবার থেকে আর লাইনে দাঁড়িয়ে রেশন নিতে হবে না।
এটিএম কার্ডের মতোই বিশেষ একটি কার্ডের মাধ্যমে মেশিন থেকে যখন খুশি চাল তোলা যাবে। এ উদ্যোগটি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষদের জন্য খুবই উপকারী হতে চলেছে।
Table of Contents
রাইস এটিএম কীভাবে কাজ করবে?
রাইস এটিএমটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি ব্যবহারের জন্য গ্রাহককে প্রথমে তাদের রেশন কার্ড নম্বর মেশিনে প্রবেশ করাতে হবে। এরপর বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে হবে। ভেরিফিকেশন সফল হলে, রেশন কার্ডে নির্ধারিত পরিমাণ চাল বেরিয়ে আসবে। প্রতিটি কার্ড হোল্ডার এই মেশিনের মাধ্যমে ২৫ কেজি পর্যন্ত চাল পেতে পারেন।
কোথায় চালু হয়েছে এই নতুন ব্যবস্থা?
ওড়িশার ভুবনেশ্বরের মঞ্চেশ্বরে বৃহস্পতিবার এই অভিনব রাইস এটিএমটির উদ্বোধন করা হয়। খাদ্য সরবরাহ ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী ক্রুশনাচন্দ্র পাত্র নিজে এটিএমটির উদ্বোধন করেন। জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই ওড়িশা রাজ্যজুড়ে আরও ৩০টি রাইস এটিএম বসানো হবে। এছাড়াও, “এক দেশ, এক রেশন” প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য রাজ্যেও একই ধরনের রাইস এটিএম বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
রাইস এটিএম-এর সুবিধা ও ভবিষ্যৎ
রাইস এটিএমটি চালু হলে দেশের রেশন ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে। লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি, এই মেশিনগুলির মাধ্যমে রেশন কার্ড জালিয়াতি বন্ধ হবে। নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আসল গ্রাহকদের চিহ্নিত করে, ভুয়ো রেশন কার্ডধারীদের নাম বাতিল করা হবে। এর ফলে প্রকৃত দরিদ্র মানুষদের জন্য বিনামূল্যে চাল ও গম পাওয়া নিশ্চিত হবে।
রাইস এটিএম সংক্রান্ত তথ্য
সিস্টেমের নাম | রাইস এটিএম |
---|---|
চালু হয়েছে | ভুবনেশ্বর, ওড়িশা |
সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য | টাচস্ক্রিন, বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন |
সর্বাধিক চাল উত্তোলন | ২৫ কেজি |
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা | ৩০টি নতুন এটিএম, অন্যান্য রাজ্যেও চালু হবে |