Lakshmir Bhandar: এই কাজ না করলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাবেন না। আজ থেকে নতুন নিয়ম চালু হলো

krishak bandhu Join Whatsapp channel
Join-telegram-channel

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বা Lakshmir Bhandar Scheme. এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পটি চালু করেছিলেন বিগত কয়েক বছর আগেই। প্রধানত মহিলাদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প অচিরেই সারা দেশে সমাদৃত হয়েছে। বর্তমানে মহিলাদের মধ্যে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প প্রচুর জনপ্রিয়। বাংলার এই প্রকল্পে বর্তমানে নাম নথিভুক্ত করেছেন বহু সংখ্যক মহিলা এবং যত দিন যাচ্ছে এই প্রকল্পে মহিলাদের নাম নথিভুক্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে।

West Bengal Lakshmir Bhandar Scheme

ইতোমধ্যে রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২ কোটি ১১ লক্ষ মহিলা এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। বাংলার সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্কিমের মাধ্যমে মহিলাদের কাছে প্রতিমাসে হাতখরচের টাকা পৌঁছে যাচ্ছে। মহিলারা এই টাকা যেমন সংসারে খরচ করছেন, ঠিক তেমন ভাবেই বহু মহিলা ছেলে মেয়েদের টিউশনি ইত্যাদির জন্যও খরচ করছেন। আবার বহু মহিলা ধীরে ধীরে নিজেকে স্বনির্ভর করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠছেন।

তাই স্বাভাবিকভাবেই বলা যায়, বঙ্গনারীদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষীর ভান্ডার স্কিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যত দিন যাচ্ছে এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা যারা আবেদন করেও এখনো পর্যন্ত টাকা পাননি তাঁরা খুব শীঘ্রই টাকা পেয়ে যাবেন। খুব সম্ভবত ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যাবে প্রকল্পের অর্থ।

Lakshmir Bhandar Eligibility

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে আপনাকে বেশ কিছু শর্ত মানতে হবে। আর এই নিয়ম না মানলে আপনি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না। আপনাকে কি কি শর্ত মানতে হবে? আসুন সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

১) এই প্রকল্পের অনুদানগ্রহণকারীকে অবশ্যই বাংলার বাসিন্দা হতে হবে।
২) আবেদনকারীকে অবশ্যই মহিলা হতে হবে।
৩) আবেদনকারী প্রার্থী যে কোনো শ্রেণীভুক্ত হতে পারেন।
৪) এই প্রকল্পের আবেদনকারীর অবশ্যই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকতে হবে। যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকে, তাহলে তিনি কখনই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাবেন না।

আরও পড়ুন, রাজ্যের কৃষক বন্ধুদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিরাট ঘোষণা। সবাই এটাই চাইছিলো।

৫) এই প্রকল্পের জন্য এক পরিবার থেকে একের বেশি মহিলা আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা নেই।
৬) আপনি যখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম ফিল আপ করবেন, তখন আপনাকে প্রত্যেকটি তথ্য সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। নচেৎ পরে আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন প্রক্রিয়া

আপনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আপনার স্থানীয় দুয়ারে সরকরার ক্যাম্প থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। তারপর সেটি সঠিকভাবে ফিল আপ করতে হবে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আবেদনপত্র জমা দিলে আপনার আবেদন গ্রহণ হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য কোনো নতুন নিয়ম চালু করা হয়নি। অতীতের নিয়ম অনুযায়ী আবেদন প্রক্রিয়া চলছে। তাই আপনি যদি আবেদন জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তবে উপরোক্ত ডিটেলস মেনে আবেদন সাবমিট করুন।

প্রসংগত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটির ঘোষণা করেছিলেন। আর লোকসভা ভোট চলাকালীন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকাও বৃদ্ধিও করেছে রাজ্য সরকার। আগে যেখানে এই প্রকল্পে মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকা দেওয়া হতো, সেখানে বর্তমানে এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণীভুক্ত মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা করে পান। আবার, পিছিয়ে পড়া বা অনগ্রসর শ্রেণির মহিলাদের এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১২০০ টাকা করে পান।

Leave a Comment