পশ্চিমবঙ্গের কৃষক বন্ধুদের জন্য সুখবর। চলতি বছর বাংলার কৃষকরা (Farmers) শস্য বিক্রির ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবেন। পশ্চিমবঙ্গ শস্য শ্যামলা রাজ্য এই রাজ্যের অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। বাংলার কৃষকদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নানান ধরনের প্রকল্প চালু করেছেন যাতে কৃষকদের জীবনধারণ অনেক বেশি সহজ হয়। সমাজের মূল স্রোতে তারা ফিরে আসতে পারে। সঠিকভাবে নিজেদের জীবন যাপন করতে পারে।
Good News For Farmers Of West Bengal
সবমিলিয়ে, কৃষক বন্ধুদের সুবিধার জন্য নানান ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র রাজ্য সরকার নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও কৃষকদের সুবিধায় নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বছরের নানান সময় ঝড় বৃষ্টি ইত্যাদি কারনে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়, আর তাই কৃষকদের জন্য বাড়তি সুবিধা দিতে হয় সরকারকে। তবে এবার বাংলার কৃষকদের জন্য এটাই সুখবর যে আপনারা বাজারে গিয়ে শস্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবেন।
কৃষকদের প্রধানত ধান বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সুবিধা দেওয়া হবে। এখন নিশ্চয়ই আপনার মনে প্রশ্ন আসছে, কৃষকদের কোন বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে? কৃষকরা কিভাবে লাভবান হবেন? চিন্তা নেই, আজকের এই প্রতিবেদনে প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তাই সম্পূর্ণ প্রতিবেদন আপনাকে মন দিয়ে পড়ে নিতে হবে। কৃষকদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনের আপডেট খুব জরুরী হতে চলেছে।
বাংলার কৃষকরা বছরের বিভিন্ন সময় নানান ধরনের শস্যের চাষ করে থাকেন। এক একটি আবহাওয়ায় এক এক ধরনের শস্য বেড়ে ওঠে। তবে সেই শস্য শুধুমাত্র চাষ করলেই হয় না, সে শস্য বাজারজাত করার জন্য কৃষককে তাঁর বসতি থেকে দূরে মার্কেটে যেতে হয়। আবার, শস্য বিক্রয়ের সময় মার্কেটের তৎকালীন দাম সম্পর্কেও জানতে হয়। দাম কখনো বেশি হলে কৃষকের লভ্যাংশ বেশি আসে। আবার দাম কম
হলে কৃষকের লভ্যাংশ অনেকটাই কমে যায়। তবে সম্প্রতি কৃষকদের জন্য বেশ ভালো খবর।
কারণ, আগের থেকে অনেকটাই সহজ হল ধান বিক্রি। কৃষকরা জেনে নিন, সরকারি সহায়ক মূল্য ধান বিক্রি আপনাদের জন্য অনেকটাই সহজ হবে।কারণ যা জানা যাচ্ছে, এই বছর সরকারি ভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে ধানের দাম। ধান বিক্রি করার জন্য এখন আপনাকে আর ছোটাছুটি করতে হবে না। আপনি খুব সহজেই বাড়ি বসেই সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারবেন। অনলাইনে ধান বিক্রির জন্য সুবিধা পাবেন কৃষকেরা। একে তো ছোটাছুটি করতে হবে না, তার পাশাপাশি, ধান বিক্রির টাকা সরাসরি চলে আসবে কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
সূত্রের খবর, আমন মরশুমে কৃষকদের জন্য বেশ ভালো খবর। কারণ, সরকারি উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ধান কেনার প্রক্রিয়া। বর্তমানে বাংলা জুড়ে কৃষক দের সুবিধার জন্য বিভিন্ন জেলায় জেলায় বৃদ্ধি করা হয়েছে ধান কেনার সিপিসি সেন্টার। শুধু কি তাই? পাশাপাশি মোবাইল সিপিসির সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে সরকারিভাবে, সরকারি উদ্যোগে। যাতে বাংলার প্রত্যন্ত এলাকার কৃষকেরাও খুব সহজে সরকারি সহায়ক মূল্যের ধান বিক্রি থেকে কোনোভাবে বঞ্চিত না হন তার জন্য সরকারিভাবে গ্রহণ করা হয়েছে এই উদ্যোগ। অর্থাৎ এর দ্বারা আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হতে পারবেন।
কৃষকদের ধান বিক্রি করা অনেক সহজ হল!
যাতে বাংলার কৃষকেরা সহজেই সরকারি সহায়ক মূল্যের ধান কিনতে পারেন তার জন্য প্রশাসনের তরফে সুব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এই উদ্যোগ কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে বিভিন্ন ভাবে প্রচার অভিযান চালানো হচ্ছে। কৃষকরা যাতে বাড়িতে বসেই অনলাইনে ধান বিক্রি করার জন্য স্লট বুকিং করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কবে কোন সময় ধান বিক্রি করবেন সেই বিষয়গুলো এবার ঠিক করতে পারবেন কৃষকেরাই। আগেই বলা হয়েছে যে, কৃষকদের সুবিধার্থে এই বছর সরকারি সহায়ক মূল্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে ধানের দাম। যা জানা যাচ্ছে, বর্তমানে প্রতি কুইন্টাল ধানের জন্য কৃষকেরা দাম পাবেন ২৩০০ টাকা। সব মিলিয়ে, কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার।
সম্প্রতি রাজ্যের একটি জেলা মালদহ জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় মোট ২৫ সিপিসি সেন্টার ও দশটি মোবাইল সিপিসি সেন্টার থেকে ধান ক্রয় করা হবে কৃষকদের কাছ থেকে। বিগত মরশুমে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল মোট তিন লক্ষ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার। সেখানে দেখা যায় মোট ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ধান কেনা সম্ভব হয়।