বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে সবজির দাম যেন আগুনের মতো চড়ছে। সাধারণ মানুষের জন্য সবজি কেনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে মানুষ সহজেই কম দামে সবজি কিনতে পারেন।
বাড়ির সামনে ভ্রাম্যমাণ ন্যায্যমূল্যের সবজি বিক্রয়ের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই নদীয়া জেলায় সফলভাবে কার্যকর হয়েছে।
Table of Contents
সবজির আকাশছোঁয়া দাম এবং সরকারের উদ্যোগ
গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে কলকাতায় সুফল বাংলা বিপণি এবং ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রয় চালু হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হয়েছে। এবার সেই একই ধরনের সুবিধা নদীয়া জেলার জন্য চালু করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ ন্যায্যমূল্যের দোকান: কিভাবে কাজ করে?
এই ভ্রাম্যমাণ ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলি মূলত একটি মোবাইল ভ্যান, যা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কম দামে সবজি বিক্রি করে। জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক ভবন থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
ন্যায্যমূল্যের তালিকা:
সবজি | মূল্য (প্রতি কেজি) |
---|---|
আলু | ২৮ টাকা |
পেঁয়াজ | ৩৮ টাকা |
পটল | ২০ টাকা |
রসুন | ২০০ টাকা |
বাড়ির সামনে সবজি কেনার সুবিধা
এখন আর বাজারে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। এই ভ্রাম্যমাণ ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলি সরাসরি বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়, যেখানে আপনি সহজেই সবজি কিনতে পারেন। বাজারের তুলনায় কিছুটা কম দামে এই সবজি বিক্রি হয়, যা সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক হয়েছে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
এই উদ্যোগের ফলে নদীয়া জেলার অনেক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। এই ধরণের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলি রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে সমস্ত সাধারণ মানুষ এর সুবিধা পান।