রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্পে (PMGAY Scheme) রাজ্যের জনসাধারণের জন্য ২ কাঠা করে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজ্যের ভূমিহীন পরিবারের কাছে এই প্রকল্প (Government Scheme) নতুন নজির গড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার রাজ্যের জনসাধারণের জন্য একাধিক জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের সূচনা করেছেন। যার মাধ্যমে তরুণী, বিবাহ যোগ্য কন্যা থেকে শুরু করে যুবক, মহিলারা ও বয়স্ক ব্যক্তিরা উপকৃত হয়েছন। সম্প্রতি রাজ্য সরকার কর্তৃক আরো একটি নতুন প্রকল্পের সূচনা হতে চলেছে যার মাধ্যমে উপকৃত হবেন রাজ্যের জনসাধারণ।
PMGAY Scheme 2024
আমরা জানি, দেশের দরিদ্র ও অন্যান্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর মাথার উপর ছাদ তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সহায়তায় দেশের অনেক মানুষ তাদের মাথার উপর একটা নির্ভরতার ছাদ পেয়েছে। তবে বাংলায় এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প নিয়ে কারচুপির অভিযোগ এসেছে। এরপরে প্রধানমন্ত্রী আপাতত বন্ধ রেখেছে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া।
এরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত মানুষের বাড়ি তৈরি সম্পন্ন হয়নি তাদের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করছেন বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে। তবে শুধু তাই নয়, বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্প ছাড়াও আরেকটি নতুন প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের এখনো অনেক পরিবার রয়েছে যাদের বাড়ি তৈরির জন্য নূন্যতম জমি পর্যন্ত নেই।
সেই সমস্ত ভিটা মাটিহীন মানুষদের এক টুকরো জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সিদ্ধান্তে গৃহীত হয়েছে যে, ভূমিহীন পরিবারের জন্য এক একটি পরিবারকে দুই কাঠা করে জমি দেওয়া হবে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, আপনি কিভাবে এই প্রকল্পে আবেদন করবেন? এই প্রকল্প আবেদনের জন্য যোগ্যতা কি রয়েছে? আবেদন পদ্ধতি সমূহ আরো অন্যান্য তথ্য রইল এই প্রতিবেদনে। সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নতুন সরকারি প্রকল্পে পাবেন ২ কাঠা জমি
বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের অন্তর্গত এই নতুন প্রকল্পটি। ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ১১ লক্ষ মানুষের জন্য পাঁকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজ্য সরকার। বিশেষ করে ভূমিহীনদের জন্য পাঁকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ায় মূল লক্ষ্য বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের থেকেও রাজ্য সরকারের বাংলা আবাস যোজনা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কারণ, যেখানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে মাত্র ১ কাঠা জমি দেওয়ার নির্দেশ ছিল তাও অনেক ভূমিহীন পরিবার বিভিন্ন প্রশাসনিক সমস্যার কারণে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতেন, তবে রাজ্য সরকার কর্তৃক বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পে একেকটি পরিবারকে দুই কাঠা জমি প্রদান করা হবে।
এই বিষয়ে রাজ্য সরকার অক্টোবর মাস থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় সার্ভে করে যে সমস্ত মানুষের পাঁকা বাড়ি নেই তাদের একটা লিস্ট করা হচ্ছে, সেইসাথে যাঁরা ভূমিহীন তাদের নাম আলাদা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। যে সমস্ত ভূমিহীন পরিবার রয়েছে তাদের জন্য রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর থেকে জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জমির পাট্টা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার কর্মকর্তারা ভূমিহীনদের জমি চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। তবে কোন জায়গায় জমি নেবেন সেটা নির্ভর করবে উপভোক্তাদের উপর। তাঁরা চাইলে বর্তমান বাসস্থানের কাছাকাছি জমির জন্য আবেদন করতে পারেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য অনেকটাই বেশি সুবিধা দান করছেন বাংলার মানুষদের। তাই সাধারন মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা দেওয়া স্তগিদ রাখা হয়েছে, অন্যদিকে এই মুহূর্তে ভূমিহীনদের বাসযোগ্য জমি সহযোগে পাঁকা বাড়ি তৈরি করার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। কেন্দ্র ও রাজ্যের সাথে বরাবরই চাপা প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলতে থাকে, সেই জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে রাজ্যের দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য এক টুকরো জমি ও মাথার ওপর ছাদ নির্মাণের দায়িত্ত্ব নেওয়ায়, রাজ্যের মানুষের কাছে অনেকটাই প্রশংসার দাবি রাখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।