স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ (SVMCM Scholarship). পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র ছাত্রীদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য সরকার নতুন স্কলারশিপ নিয়ে এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সেই ধারাবাহিকতায় চালু করা হয়েছে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ (SVMCM Scholarship). এই স্কলারশিপটি মূলত শিক্ষাক্ষেত্রে মেধাবী ও আর্থিকভাবে দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার জন্য চালু করা হয়েছে।
SVMCM Scholarship Amount and Start Date
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্তরের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। চলতি বছর স্কলারশিপের প্রক্রিয়াতে কিছু নতুন পরিবর্তন আনা হয়েছে যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করবে।
এই স্কলারশিপের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য
এই স্কলারশিপটির মূল উদ্দেশ্য হল মেধাবী এবং আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া। শিক্ষার্থীদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য করতে এই স্কলারশিপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
SVMCM Scholarship Eligibility
এই স্কলারশিপের যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয় নথি
যেসব শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন:
- পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে।
- বার্ষিক আয় ₹২.৫ লক্ষের মধ্যে হতে হবে।
- মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে ৭৫% নম্বর থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি:
- আধার কার্ড
- ভোটার কার্ড
- ইনকাম সার্টিফিকেট
- পূর্ববর্তী পরীক্ষার মার্কশিট
- ব্যাঙ্কের পাসবুকের কপি
এই স্কলারশিপের পরিমাণ
SVMCM স্কলারশিপের পরিমাণ শিক্ষার স্তর অনুযায়ী ভিন্ন হয়। টেবিলের মাধ্যমে তা সহজে দেখে নিন:
শিক্ষার স্তর | স্কলারশিপের পরিমাণ (বার্ষিক) |
---|---|
মাধ্যমিক (HS) | ₹12,000 |
স্নাতক (UG) | ₹18,000 |
স্নাতকোত্তর (PG) | ₹24,000 |
টেকনিক্যাল ও প্রফেশনাল কোর্স | ₹36,000 |
কিভাবে আবেদন করবেন এই স্কলারশিপের জন্য?
SVMCM স্কলারশিপের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনের মাধ্যমে করা হয়।
আবেদন করার ধাপগুলি:
- সরকারি ওয়েবসাইটে যান:
SVMCM Scholarship Official Website - নতুন ব্যবহারকারী হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করুন এবং ফর্ম পূরণ করুন।
- প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন।
- আবেদনটি জমা দিন এবং একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ করুন।
আরও পড়ুন, প্রতিটি মহিলা পাবে ১০,০০০ করে টাকা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো নতুন প্রকল্প চালু
এই স্কলারশিপের সুবিধা ও নতুন পরিবর্তন
২০২৪ সালে কিছু নতুন সুবিধা আনা হয়েছে:
- বার্ষিক আয়ের সীমা বৃদ্ধি: আগে আয় সীমা ₹২ লক্ষ ছিল, যা এবার ₹২.৫ লক্ষ করা হয়েছে।
- দ্রুত অনুমোদন: এবার থেকে আবেদন প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সম্পন্ন হবে।
- ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পেমেন্ট: স্কলারশিপের টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক একাউন্টে জমা হবে।
সফল আবেদনকারীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
স্কলারশিপের স্ট্যাটাস চেক করতে ও আবেদন প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ জানতে শিক্ষার্থীরা সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে লগইন করতে পারেন।
এই স্কলারশিপে আবেদনের শেষ তারিখ
এই বছর স্কলারশিপের আবেদন অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত করা যাবে। তাই দ্রুত আবেদন করুন এবং সুযোগ নিন।