পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্প সম্পর্কে আগেই জানিয়েছেন। এই প্রক্রিয়ায় সমাজের সকল দরিদ্র সাধারণ মানুষ সরকারের তরফে বাড়ি পাবেন বা বলা যায়, বাড়ি বানানোর জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে সরকার। আর এবার আবাস যোজনা স্কিমের (Government Scheme) ফাইনাল লিস্ট চলে এসেছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
Awas Yojana Scheme Final List
বাংলা আবাস প্রকল্প নিয়ে প্রথম থেকেই নানান ধরনের অভিযোগ উঠছিল। আর সেই কারণেই আবাস যোজনা প্রকল্পের ভুল এড়াতে ইউনিক আইডি পদ্ধতি চালু হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গের আবাস প্রকল্পের সব উপভোক্তাদের জন্য এক বিশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আবাস যোজনা প্রকল্পের এই নতুন সুবিধা সম্পর্কে জানা দরকার আপনারও। প্রকল্পের ফাইনাল লিস্ট ও টাকা কবে পাবেন তার আপডেট আগের থেকে দেখে নিন।
এখন থেকে আবাস যোজনা স্কিমে উপভোক্তার জন্য আলাদা একটি ইউনিক আইডি বা (সুনির্দিষ্ট নম্বর) তৈরি করে তবে টাকা বরাদ্দ করা হবে বলে জানা যায়। ইতিমধ্যে নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিটি জেলাকে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে।আর প্রশাসনের দাবি, সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য প্রকল্পের টাকা এক উপভোক্তার বদলে অন্য কারও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাতে না পৌঁছে যায় সেই বিভ্রান্তি বা বিতর্ক বন্ধ করা।
কিন্তু কেন গৃহীত হল এই পদক্ষেপ?
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরুনের স্বপ্ন প্রকল্প ট্যাব বরাদ্দ নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় একের টাকা ভুল করে অন্যের অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ায় তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার এমন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এদিকে, প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাস প্রকল্পের টাকাও যাতে সঠিক উপভোক্তার কাছে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার আগে থেকেই এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন যে, চলতি মাসের ১৫ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে আবাস প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ শুরু হবে। এর আগেই প্রতিটি জেলায় বিশেষ শিবির চালু করা হয়েছে। শিবির গুলিতে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি যাচাইয়ের পাশাপাশি প্রদান করা হবে ইউনিক আইডি।
এই প্রক্রিয়াটি ঠিক কেমন হবে?
ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে এবার উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট ও কম্পিউটার -ল্যাপটপের মাধ্যমে সংযুক্ত করে পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালিত হবে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকবেন নির্দিষ্ট ব্লক আধিকারিকরা। স্থানীয়ভাবে প্রশাসনের মাধ্যমে উপভোক্তাদের শিবিরে আসার সূচিও জানিয়ে দেওয়া হবে।
বর্তমানে আবাস প্রকল্পের উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ। প্রকল্পের নিয়ম অনুসারে, তাঁদের মধ্যে প্রথম কিস্তিতে মাথাপিছু ৬০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। আর এই অর্থের মোট পরিমাণ ৭,২০০ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে সমপরিমাণ টাকা দেওয়া হবে।
বাংলা আবাস যোজনায় প্রচুর নাম বাদ গেল। নতুন আবাস যোজনা ঘরের লিস্ট দেখে নিন
উপভোক্তাদের এসএমএস পাঠানো হচ্ছে
আবাস যোজনা প্রকল্পের উপভোক্তাদের পাঠানো হচ্ছে এসএমএস। মূলত যারা বাড়ি পাবেন যাদের নাম ফাইনাল লিস্টে রয়েছে তাদেরকে এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল এই যে, আপনার ফোনে কবে আসবে এসএমএস? জেনে নিন, আপনার নাম ফাইনাল লিস্টে থাকলে তবে তাহলে আপনার এসএমএস ১৩ই ডিসেম্বরের মধ্যে চলে আসবে। আর যদি আপনার এসএমএস না আসে সেক্ষেত্রে আপনি নিকটবর্তী পঞ্চায়েতে বা বিডিও অফিসে গিয়ে চেক করে নেবেন যে আপনার নাম ফাইনাল লিস্টে রয়েছে কিনা।