সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির উন্নতি এবং পরিবেশ সচেতনতার দিকে মনোনিবেশ করে সরকার একটি নতুন ভর্তুকি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণ বৈদ্যুতিক যানবাহন কিনলে বিশেষ ভর্তুকির সুবিধা পাবেন।
পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হতে এবং পরিবহন খাতে পরিবর্তন আনতে সরকার একটি নতুন ভর্তুকি প্রকল্প চালু করেছে।
এই প্রকল্পের অধীনে বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ ভর্তুকি দেওয়া হবে। এতে মধ্যবিত্তদের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ভর্তুকির পরিমাণ:
গাড়ির ধরন | ভর্তুকি | বিবরণ |
---|---|---|
২ চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি | ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত | ইলেকট্রিক বাইক বা স্কুটার কেনার ক্ষেত্রে এই ভর্তুকি প্রযোজ্য। |
৩ চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি | ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত | ই-রিকশা বা ই-অটোর মতো ছোট আকারের গাড়ি কিনলে এই ভর্তুকি দেওয়া হবে। |
৪ চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি | ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত (প্রথম ১০০০ জন গ্রাহকের জন্য) | প্রাইভেট কার বা বড় গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে এই ভর্তুকি পাওয়া যাবে। |
আরো পড়ুন: কন্যা সন্তানের জন্য প্রচুর আর্থিক সাহায্য: ভুয়া খবর থেকে সাবধান
প্রকল্পের শর্তাবলী:
- নাগরিকত্ব: আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বয়স: প্রার্থীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স: বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
- গাড়ির ধরন: শুধুমাত্র নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে এই ভর্তুকি প্রযোজ্য।
আবেদন পদ্ধতি:
- রেজিস্ট্রেশন: ইভি যানবাহন সংস্থায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: গাড়ি কেনার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
- আবেদনের মেয়াদ: ৩১শে জুলাই পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির সুবিধা:
- অর্থনৈতিক সাশ্রয়: পেট্রোল ও ডিজেলের আকাশছোঁয়া দাম থেকে মুক্তি।
- পরিবেশবান্ধব: বৈদ্যুতিক গাড়ি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়, দূষণ কমায়।
- জ্বালানি খরচ নিয়ন্ত্রণ: দেশব্যাপী জ্বালানির খরচ কমিয়ে আনতে সহায়ক।
সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগ মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনাকে আরও সহজ করবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।
পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে এবং সরকারের সুবিধা গ্রহণ করে বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনুন ও পরিবেশ সংরক্ষণে অংশগ্রহণ করুন। তাড়াতাড়ি আবেদন করে এই বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করুন!