ভাড়া বাড়ির ভুয়ো রশিদ দিয়ে ট্যাক্স কমাতে চাইছেন? আয়কর দফতর থেকে আসছে কড়া পদক্ষেপ!

krishak bandhu Join Whatsapp channel
Join-telegram-channel

ট্যাক্স ফাঁকি দিতে ভাড়া বাড়ির ভুয়ো রশিদ জমা দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। অনেকেই আইনি ফাঁক গলে ট্যাক্স কমানোর চেষ্টা করছেন। এই পরিস্থিতি লক্ষ্য করে আয়কর দফতর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে। ভুয়ো রশিদ জমা দিলে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ট্যাক্স আইন লঙ্ঘন করলে হতে পারে জরিমানা, এমনকি কারাদণ্ডও। তাই সঠিক তথ্য দিয়ে ট্যাক্স ফাইল করা অত্যন্ত জরুরি। ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে বিপদে পড়ার থেকে সতর্ক থাকুন। আয়কর দফতর থেকে সতর্কবার্তা—সতর্ক থাকুন এবং আইন মেনে চলুন।

ভাড়ার আয় থেকে নতুন ট্যাক্স নিয়ম: বাড়ি ভাড়া থেকে আয় বাড়ানোর পাশাপাশি, এখন নতুন ট্যাক্স নিয়মও বাস্তবায়িত হয়েছে। এই নতুন নিয়মগুলি আপনাকে আপনার ভাড়ার আয়ের উপর বাড়তি করের বোঝা বুঝতে সাহায্য করবে।

নতুন নিয়মের অধীনে ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়ছে

ভারতে, বাড়িভাড়া বা লিজ থেকে প্রাপ্ত আয় এখন নতুন নিয়মের অধীনে বাড়তি করের আওতায় আসছে। আয়কর আইন ১৯৬১ অনুযায়ী, যে কোনো সম্পত্তি লিজ বা ভাড়া থেকে প্রাপ্ত আয় করযোগ্য। আসুন বিস্তারিতভাবে জানি নতুন নিয়মগুলি কীভাবে আপনার ট্যাক্স লায়েবিলিটি বাড়াবে।

ভাড়ার আয় এবং নতুন ট্যাক্স নিয়ম

১. ভাড়ার আয়ের শ্রেণীবিভাগ:
ভাড়ার আয় একটি সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত অর্থ যা একটি বাড়ি, দোকান, ভবন, বা কারখানা হতে পারে। এই আয়ের উপর প্রযোজ্য করের পরিমাণ নির্ধারিত হয় সম্পত্তির ভাড়ার ফলন ও মূল্যের উপর ভিত্তি করে।

২. স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন:
আয়কর আইনের ধারা ২৪এ অনুযায়ী, ভাড়ার আয় থেকে ৩০ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। এটি মেরামত ও সংস্কার খরচের জন্য প্রযোজ্য।

৩. ট্যাক্স গণনা প্রক্রিয়া:

  • আয়ের পরিমাণ নির্ধারণ: সম্পত্তির ভাড়া থেকে প্রাপ্ত বার্ষিক আয়
  • ডিডাকশন: স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৩০%)
  • ট্যাক্সযোগ্য আয়: মোট আয় – ডিডাকশন

৪. বাড়ি ভাড়া ও করের প্রভাব:
ভাড়ার আয় একটি আয়ের উৎস হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ, যা আপনার আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যতের অবসর তহবিলের সাথে যুক্ত। তবে, এটি নিয়ে করের নিয়মগুলি জটিল এবং ট্যাক্সের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

প্রয়োজনীয় তথ্য ও নিয়মাবলী

১. করযোগ্য সম্পত্তি:

  • আবাসিক সম্পত্তি
  • বাণিজ্যিক দোকান
  • শিল্প ভবন

২. করের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:

  • সম্পত্তির ভাড়ার চুক্তি
  • আয়ের হিসাবপত্র
  • স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ফর্ম

৩. অফিসিয়াল ওয়েবসাইট:
ভাড়ার আয় ও কর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এবং নিয়মাবলী জানতে Income Tax India ওয়েবসাইট পরিদর্শন করুন।

ভাড়ার আয়ের উপর ট্যাক্সের প্রভাব

সম্পত্তির প্রকারবার্ষিক ভাড়া আয়স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৩০%)ট্যাক্সযোগ্য আয়
আবাসিক সম্পত্তি₹৫,০০,০০০₹১,৫০,০০০₹৩,৫০,০০০
বাণিজ্যিক দোকান₹৭,০০,০০০₹২,১০,০০০₹৪,৯০,০০০
শিল্প ভবন₹১০,০০,০০০₹৩,০০,০০০₹৭,০০,০০০

সাম্প্রতিক খবর

মেয়াদী সংস্কার: সম্প্রতি, ভাড়ার আয়ের উপর কর বাড়ানো হয়েছে এবং নতুন নিয়মের অধীনে ট্যাক্সের বোঝা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্পত্তি মালিকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন যা তাদের কর পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলবে।

আপনার যদি আরও প্রশ্ন থাকে বা বিস্তারিত জানার প্রয়োজন হয়, তাহলে আপনার স্থানীয় আয়কর দফতর বা বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।

Leave a Comment