পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) নিয়ে গুরুত্বপুর্ণ খবর প্রকাশ্যে এল। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে বহু দিন ধরেই জটিলতা চলছে। অপেক্ষার প্রহর কাটছে না রাজ্য সরকারি কর্মীদের। তবে বড়দিনে ডিএ বৈঠক নিয়ে জরুরী আপডেট এসে গেছে। আপনারা যারা এই বিষয়ে জানেন না, অবশ্যই আজকের প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন। প্রত্যেকটি আপডেট উল্লেখ করা হলো। আসুন ডিএ আপডেট সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
WB Government Employees Dearness Allowance
চলতি বছর ২০২৪ প্রায় শেষ হতে চললেও কিন্তু মেলেনি রাজ্য সরকারি কর্মীদের (Government Employees) কাঙ্খিত মহার্ঘ ভাতা DA (Dearness Allowance)। আর সেই আবহে নবান্নের সামনে ধর্নায় বসেছিল পশ্চিমবঙ্গের সকল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তাঁরা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এআইসিপিআই অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা (DA) বৃদ্ধি, এছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলিতে শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগ এবং যোগ্য অস্থায়ী কর্মী স্থায়ীকরণ ও সকল প্রতিহিংসামূলক বদলি বন্ধের দাবি বারংবার তুলেছিল।
আর এই মর্মে এদিন মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর তারিখ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা নবান্নে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দিয়ে আসেন। তবে এবার বছরের শেষ পর্বে এর সামনে এল বড় আপডেট। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ এই মর্মে জানান ভাস্কর ঘোষ। তিনি বলেছেন, গতকাল নবান্নে সরকার পক্ষের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা যে কম বেতন পাচ্ছেন, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটা মানুষ এখানে কম বেতনে চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছেন।” তাঁর মতে, এবার অন্তত অবসান ঘটাতে হবে এই প্রক্রিয়ার। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য যে, ‘ডিএ বৃদ্ধি করা চাই।’
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে জরুরী মিটিং। আজই সিদ্ধান্ত
সরকারি কর্মীদের কাঙ্খিত ডিএ আপডেট
তিনি আরও বলেছেন, ‘ এখনো পর্যন্ত রাজ্যে মোট সাড়ে পাঁচ লক্ষ শূন্যপদ রয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার এও মেনে নিয়েছে যে শূন্যপদ রয়েছে বলে সমস্যা হচ্ছে প্রশাসন চালাতে। তাই অবিলম্বে সেই শূন্য পদে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তিনি। আর সেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি কথা তারা বলেছেন।
ভাস্করবাবু আরও বলেন, ‘এখানে অধিকাংশ শূন্য পদের জন্যে কোনও কোর্ট কেস নেই।’ তাঁর মতে এই সমাজের তরুণদের জন্যে সরকারি চাকরির দরজাটা না খুললে তাঁদের স্বাভাবিকভাবে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে হবে। ফলত বাংলার বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা গোটা পশ্চিমবঙ্গকে পরিণত করবেন বৃদ্ধাশ্রমে। তাই গোটা রাজ্যকে বাঁচাতে স্বচ্ছ ভাবে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের জন্য নতুন নিয়ম চালু করলো রাজ্য সরকার
তিনি প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন,’রাজ্যের সরকার অন্তত সরকারি চাকরিগুলিকে ওজন দরে বিক্রি করাটা বন্ধ করুক।’ সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বলেছে, ‘আমরা চেষ্টা করেছি নিয়োগ করার।’ তবে তাঁর মতে আগের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। এটা পাখি বলানোর মতো করে বলেছে।” সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর পর যে কটা নিয়োগ দিনের আলো দেখেছে, সেই কটা নিয়োগে অন্তত আগের মতো চাকরি বিক্রি হয়নি। যেখানে হওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, সেখানে সে প্রচেষ্টা রুখেছি’, বললেন ভাস্করবাবু। তাই এখন সরকারি কর্মীদের অপেক্ষায় থাকতে হবে কবে রাজ্য সরকার ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করে। কবে এবং কতটা ডিএ বৃদ্ধি পাবে তা সরকারের ঘোষণা থেকেই জানা যাবে।