লোকসভা নির্বাচন প্রায় আড়াই মাস ধরে চলছে। এই সময়কালে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর থাকায় সরকারী প্রকল্পগুলির উন্নয়ন ও সুবিধার্থে অনেক সমস্যা নেমে আসে।
তাই নির্বাচনী পর্ব শেষ হওয়ার পর কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের এক কোটি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানো শুরু করেছে।
Table of Contents
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য
- প্রথম পর্যায়ে অনুদান: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে খরিফ চাষের জন্য রাজ্যের ১ কোটি ৫ লাখ কৃষককে মোট ২৯০০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।
- বার্ষিক পেমেন্ট: এই প্রকল্পের অর্থ বছরে দুবার প্রদান করা হয়।
- অনুদানের পরিমাণ: চাষকৃত জমির পরিমাণ অনুযায়ী, একজন কৃষক বছরে সর্বাধিক ১০,০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা পান।
- ক্ষতিপূরণ: বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের অধীনে ২ লাখ ১০ হাজার কৃষককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকা দেওয়া হয়েছে।
- মোট অর্থ বরাদ্দ: এই দুটি প্রকল্পে রাজ্য সরকার প্রায় ৩২০০ কোটি টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছে।
আরো পড়ুন: এ মাসেই অ্যাকাউন্টে জমা হবে ১০,০০০ টাকা! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন প্রকল্পে
আরো পড়ুন: মাসিক ১০০০ টাকা সহায়তা পাবেন রাজ্যের আরও ৫০ হাজার মানুষ
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের উন্নয়ন
- প্রকল্পের সূচনা: মুখ্যমন্ত্রী ২০১৯ সালে এই দুটি প্রকল্প শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
- মোট অনুদান: তখন থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে মোট ১৮,২৩৪ কোটি টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
- মৃত্যু ক্ষতিপূরণ: যদি কোনও কৃষক ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মারা যান, তবে তার পরিবারকে সরকার থেকে এককালীন ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন: PM Kisan Payment: এই জুন মাসেই পাবেন পিএম কিষানের টাকা, জেনে নিন নির্দিষ্ট তারিখ
গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান
- মৃত্যু ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের সংখ্যা: মোট ১ লাখ ১২ হাজার কৃষক পরিবার মোট ২২৪০ কোটি টাকা পেয়েছে।
- শস্য বীমা প্রকল্পের অধীনে অনুদান: প্রায় এক কোটি কৃষক ৩১৩৩ কোটি টাকা পেয়েছেন।
- প্রিমিয়াম ছাড়: কৃষকদের এই বীমা প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না, যদিও আলু চাষিদের আগে একটি ছোট প্রিমিয়াম দিতে হতো। এই বছরের রাজ্য বাজেটে এটি তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পের সম্প্রসারণ
- নথিভুক্ত কৃষকদের সংখ্যা: কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকদের সংখ্যা এখন ১ কোটিরও বেশি।
- ভাগচাষিরাও সুবিধাভোগী: যাঁরা জমির মালিক নন এমন ভাগচাষিরাও এই প্রকল্পের সুবিধা পান।
তুলনামূলক বিশ্লেষণ
- কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তুলনায় সুবিধা: কেন্দ্র সরকারের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রকল্পে শুধুমাত্র জমির মালিক এটি পান, এবং মৃত কৃষকদের জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ নেই। এই কারণে রাজ্য প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা কেন্দ্রের প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ।
আরো পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন প্রকল্প: আজই করুন এই কার্ড, প্রতি বছর পাবেন ১২,৫০০ টাকা!
মোট অনুদান (কৃষক বন্ধু) | ১৮,২৩৪ কোটি টাকা |
প্রথম পর্যায়ের অনুদান | ২৯০০ কোটি টাকা |
বার্ষিক সর্বাধিক অনুদান | ১০,০০০ টাকা |
বার্ষিক সর্বনিম্ন অনুদান | ৪,০০০ টাকা |
মৃত্যু ক্ষতিপূরণ | ২ লাখ টাকা |
মোট ক্ষতিপূরণ প্রাপ্ত পরিবার | ১ লাখ ১২ হাজার |
শস্য বীমা প্রকল্পের মোট অনুদান | ৩১৩৩ কোটি টাকা |
নথিভুক্ত কৃষকদের সংখ্যা | ১ কোটি+ |
FAQ:
প্রশ্ন: কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে কোন ধরনের কৃষকরা অন্তর্ভুক্ত হন?
উত্তর: কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নথিভুক্ত কৃষকরা, যাঁরা জমির মালিক এবং ভাগচাষি উভয়ই অন্তর্ভুক্ত হন।
প্রশ্ন: কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কত টাকা অনুদান পাওয়া যায়?
উত্তর: এই প্রকল্পের অধীনে একজন কৃষক বছরে সর্বাধিক ১০,০০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪,০০০ টাকা পান।
প্রশ্ন: মৃত্যু ক্ষতিপূরণের জন্য কী পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়?
উত্তর: যদি কোনও কৃষক ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মারা যান, তবে তার পরিবারকে সরকার থেকে এককালীন ২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
প্রশ্ন: বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কৃষকদের কি প্রিমিয়াম দিতে হয়?
উত্তর: না, কৃষকদের এই বীমা প্রকল্পের সুবিধা পেতে কোনও প্রিমিয়াম দিতে হয় না। তবে, আলু চাষিদের আগে একটি ছোট প্রিমিয়াম দিতে হতো যা এই বছরের রাজ্য বাজেটে তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন: কৃষক বন্ধু প্রকল্পের শুরু কবে হয়েছিল?
উত্তর: এই প্রকল্পটি ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল।